‘ছুঁচো যদি আতর মাখে তাতে কি আর গন্ধ ঢাকে’

বর্তমান সরকার মেকি আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে; বিনাভোটের সরকারের সব অপকর্ম এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়ার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে হাজি মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগরের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিনাভোটে রাতের আঁধারে যারা ভিক্ষা করে ক্ষমতায় যায়, সেই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনের দারস্থ হয়, হাতে-পায়ে ধরে। প্রশাসনকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দেয়, তাদের দিয়ে আর যাই হোক জনগণের কোনো উপকার হয় না।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার কথায় কথায় বলে, তারা নাকি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৮ হাজার ১২ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা। অথচ তারা বলছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। তাহলে উদ্বৃত্ত থাকার কথা। কিন্তু উল্টো রাজধানীসহ সারাদেশে ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং।

আলাল বলেন, মেট্রোরেল কবে হবে তা আল্লাহ মাবুদ জানেন। দেখেন লেখা, শেখ হাসিনার অর্জন মেট্রোরেল সংযোজন। মেট্রোরেল কিন্তু এখনও হয়নি। তার আগেই অর্জন বলে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ বিশ্ব গুম দিবস। পুরো বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে। আপনারা হাত ধোয়া দিবস, হাটাহাটি দিবস, ডিম দিবস, কান্নাকাটি দিবস পালন করেন, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু গুম হয়ে যাওয়া শত শত সন্তানকে তাদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিন। শত শত পিতৃহারা মাতৃহারাদের ফিরিয়ে দিন, তাহলে এই গুম দিবস নিয়ে আমরা কিছু বলবো না। এসব কিছুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ছিলেন খালেদা জিয়া। অথচ বিচার ব্যবস্থাকে ব্যর্থ করে দিয়ে তাকে দুই বছর আটকে রাখা হয়েছে। এখন দোয়া-দরুদ আর মোনাজাত ছাড়া সাধারণ মানুষের আর কিছু করার নেই।

তিনি আরও বলেন, ছুঁচো হচ্ছে ইদুরের একটা প্রজাতি। গায়ে প্রচণ্ড গন্ধ থাকে। এক ছড়াকার দুঃখ করে লিখেছেন, ‘ছুঁচো যদি আতর মাখে তাতে কি আর গন্ধ ঢাকে’। এই সরকার হচ্ছে ছুঁচোর সরকার। যতোই আতর মাখুক না কেন, তাদের সব অপকর্ম এমনভাবে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে যে, এই দুর্গন্ধ দূর করতে খালেদা জিয়ার বিকল্প নেই। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, কৃষকদল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর