সিরাজগঞ্জে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা দুই স্কুল ছাত্রী

সিরাজগঞ্জ সদরে একই দিনে দুই স্কুল ছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করেছেন সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান।বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের দত্তবাড়ী গ্রামের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ আমিনা খাতুন (১৬) এবং রতনকান্দি ইউনিয়নের সিমান্তবাজার গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ মুক্তা খাতুন (১৩) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়,বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদরের রতনকান্দি ইউনিয়নের দত্তবাড়ী সংগীয় ফোর্স নিয়ে কনের কনের বাড়ীতে উপস্থিত হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে সিরাজগঞ্জ সদরের দত্তবাড়ী গ্রামের মো. করিম বক্স এর মেয়ে আমিনা খাতুন (১৬) এর সাথে বর একই উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া শেখপাড়া গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম এর পুত্র ইমন হাসান(২০) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। কনে স্থানীয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। বর ও কনে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা নেন।

এরপর রাতে রতনকান্দি ইউনিয়নের সিমান্তবাজার গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তখন কনের বাড়ীতে কনে সিমান্তবাজার গ্রামের মো. আতাহার আলী এর কন্যা মুক্তা খাতুন (১৩) এর সাথে বর তাড়াশ উপজেলার ইন্নিপাড়া দেওলা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম খা এর পুত্র মো. ইয়াসিন খা (২২) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। কনে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের পিতা আতাহার আলী ও বরের পিতা শহিদুল ইসলামকে প্রত্যেককে ১০ হাজার করে জরিমানা করা হয়। কনের বাবার কাছ থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যবৃন্দ।

বার্তাবাজার/এম.কে

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর