খালে শিশুর লাশ : জ্বীনকে দায়ী করেছে পরিবার

১০ মাসের এক শিশু পুত্রের মৃত্যুর জন্য জ্বীনকে দায়ী করেছে নিহত শিশুর পরিবার। নিহত শিশুর নাম রামিম। মঙ্গলবার রাতে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়লেও পরদিন বুধবার শিশু রামিমের লাশ পার্শ্ববর্তী খালের পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে।

জানা যায়, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বশির শরীফের ১০মাসের শিশুপুত্র রামিমের লাশ বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করে। তবে শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা না গেলেও পরিবারের পক্ষ থেকে রামিমের মৃত্যুর জন্য জ্বীন দায়ী বলে দাবি করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার পরিবারের সবার সাথে রাতের খাবার শেষে শিশু রামিমকে নিয়ে তার মা আসমা বেগম ঘুমাতে যায়। পরে বুধবার ভোররাতে ঘুম ভাঙ্গার পর বিছানায় শিশু রামিমকে না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও শিশু রামিমকে পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রতিবেশীরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে শিশুটির ভাসমান লাশ দেখে ডাক-চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

এদিকে সন্তান শোকে পাগলপ্রায় শিশুর মা আসমা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ‘মায়ের সাথে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি কিভাবে খালের পানিতে গেলো, নাকি কেউ তুলে নিয়ে পানিতে ফেলে দিয়েছে?’- এ প্রশ্নের জবাব এখনও রহস্যাবৃত। পরিবারের পক্ষ থেকে জ্বীনে নিয়ে পানিতে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

দুমকি থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বার্তা বাজার/এস.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর