লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বৈদ্যুতিক ট্রান্সপার ড্রফট বাণিজ্যের প্রতিবাদ করায় রৌশন আরা নামে এক গৃহবধূ ও তার মেয়ে শারমিন আক্তার ময়নাকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামে বুধবার রাত ৮টার দিকে এঘটনা ঘটেছে।
বেধড়ক পিটুনির পর স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় দুইজনকে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের পর পুলিশ মোঃ শরীফ হোসেন নামের এক চাঁদাবাজকে আটক করেছে।
জানা যায়, উপজেলার ভাটিয়ালপুর গ্রামে জনবহুল বেপারী বাড়িতে রহস্যজনক কারণে মাসে একাধিকবার বৈদ্যুতিক ট্রান্সপার ড্রফট পড়ে যায়। প্রতিবার ড্রফট পড়ার পরে বাড়ির আব্দুর গফুর ভুট্ট প্রতিঘর থেকে টাকা তুলে নিজেই বাশেঁর কঞ্চি দিয়ে বিদ্যুতের ওই ড্রফট (ফিউজের তার) ঠিক করে উত্তোলন হওয়ায় টাকা নিজেই আত্মসাৎ করে।
এরই ধারাবাহিকতায় পূর্বের ন্যায় বুধবার রাতে ড্রফট পড়ে যাওয়ার পর চাঁদার টাকা তুলতে গেলে করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রৌশন আরা প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আব্দুর রহিম ভুট্টুর নেতৃত্বে নাহিম হোসেন, শরীফ হোসেন সহ ৫/৬ জনের একটি গ্রুপ স্টিলের লাইট, লোহার ও কাঠের টুকরো দিয়ে রৌশন আরাকে বাড়ির উঠানে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।
তার চিৎকারে মেয়ে শারমিন আক্তার দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর। এক পর্যায়ে দুইজনে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত ভেবে উঠানে ফেলে রেখে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন রৌশন আরা বলেন, আমাকে পিটানোর সময় আমার গলার স্বর্ণের চেইনটা নিয়ে গেছে। এব্যাপারে জানতে সরেজমিনে গেলে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। গ্রামের কেউই মুখ খুলতে চায়নি।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত রৌশন আরা বেগমের দায়ের করা মামলা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত শরীফ নামের একজনকে আটক করে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বার্তাবাজার/কেএ