সব দোকানই আমার

‘আমার পাইকারি মালের ব্যবসা। এখানকার ব্যবসায়ীরা আমার কাছ থেকে মাল নেন। বছর দুয়েক আগেও একবার আগুন লেগেছিল। তখন তাদের সব মাল পুড়ে গিয়েছিল। তখনই আমার দশ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছিল। কারণ তাদের দোকান পুড়ে গেছে। দেবে কোত্থেকে? টাকা তারা দেয়া তো দূরের কথা চাইতেও পারিনি।’- কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান। গুলশান ১ নম্বরে পুড়ে যাওয়া ডিএনসিসি কাঁচা বাজার দেখতে আসলে এসব কথা বলেন তিনি।

টাকা চাইতে না পারার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, চোখের সামনেই তো দেখলাম তাদের সব পুড়ে গেছে। বরং পরে আবার বাকিতে মাল দিলাম। তারা আবার ব্যবসায় শুরু করলেন। এখানে আমার দোকান নেই। আসলে সব দোকানই আমার। কারণ সবার সাথেই আমার লেনদেন আছে। তাদের ক্ষতি তো আমারও ক্ষতি। এখনতো এই অবস্থা ( পোড়া মার্কেট দেখিয়ে)। চোখে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার নেই।

শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর পৌঁনে ছয়টার দিকে ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল সাড়ে আটটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকেই বাজারের ব্যবসায়ীর, তাদের স্বজন, কর্মী ও ব্যাবসায় সংশ্লিষ্টরা মার্কেটে আসেন। তাদের কেউ আহাজারি করছেন, কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকেও কিছু রক্ষা করা যায় কিনা, সেই চেষ্টায় ব্যস্ত থাকতে থাকতে দেখা যায়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর