মায়ের পরকিয়া দেখায় ছেলেকে হত্যা চেষ্টা, গ্রেফতার ২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মা ও বোন জামাইয়ের পরকিয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলায় আপন মা তার ছেলে সাদিকুল ইসলামকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে উপজেলার কা ন পৌরসভার রানীপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মা নূর জাহান ও বোন জামাই আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নূরজাহান উপজেলার কা ন পৌরসভার রানীপুরা এলাকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী ও বোন জামাই আব্দুল্লাহ গাইবান্ধা জেলার সদর থানার ভেরাডাঙ্গা এলাকার ভবেশ বর্মনের ছেলে।

ভোলাবো ফাড়ির ইনচার্জ (এসআই) শফিক আহম্মেদ জানান, আব্দুল্লাহ আগে হিন্দু ধর্মাল্ম্বী ছিল। তার নাম ছিল সঞ্জয় বর্মণ। সে রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের বানিজ্য মেলার নির্মাণ কাজের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। পরে নূরজাহান বেগমের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মণের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরে নূরজাহান বেগম তাকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করায়। তার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আব্দুল্লাহ। পরে ওই সম্পর্ক আরো জোরালো করতে নূরজাহান বেগম তার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে আব্দুল্লাহর সঙ্গে বিয়ে দেন।

নূরজাহান বেগমের স্বামীর আতিকুর রহমান একজন চা দোকানী। আতিকুর রহমানের অনুপস্থিতিতে নূরজাহান বেগম ও আব্দুল্লাহ বিভিন্ন সময় শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। তাদের এ পরকীয়া সম্পর্ক স্বামী আতিকুর রহমানও টের পেয়ে যায়।

গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ছেলে সাদিকুল ইসলাম তার মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহর অবৈধ শারিরিক সম্পর্ক দেখে ফেলে। এর জেরে মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহ সাদিকুল ইসলামকে আপেলের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।

সে বিষ মিশ্রিত আপেল খেয়ে সাদিকুল ইসলাম অসুস্থ্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে স্থানীয় সূফী দায়েমউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। পরে সাদিকুল ইসলামকে বিষ খাইয়ের হত্যার চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিকিৎসক।

ছেলে সাদিকুল ইসলাম কিছুটা সুস্থ্য হলে তার জবানবন্দিতে মা নূরজাহান বেগম ও বোন জামাই আব্দুল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নূরজাহান বেগম ও আব্দুল্লাহ পরকিয়ার সম্পর্ক ও ছেলে সাদিকুল ইসলামকে হত্যার চেষ্টা কথা স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় নূরজাহান বেগমের স্বামী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বার্তাবাজার/কেএ

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর