বেনাপোলে তিন দিনব্যাপী বইমেলা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

যশোর বেনাপোলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর সূচনালগ্ন উপলক্ষে বেনাপোলে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডর বেনাপোল পৌর শাখা শার্শা এর যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু বইমেলা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনী-১৯’ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।(রবিবার ২৮শে আগস্ট)দুপুর ১২ টায় বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ী সেন্টারে বইমেলার উদ্বোধন করেন যশোর-১,শার্শা আসনের এমপি আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দিন। উদ্বোধন শেষে পৌর বিয়ে বাড়ী চত্বরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ৩ বার নির্বাচিত এমপি শেখ আফিল উদ্দিন।উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু বই মেলা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর কর্মসূচি বেনাপোলে আমরাই প্রথম সূচনা করলাম। বঙ্গবন্ধু কী পরিমাণ বই প্রেমিক ছিল তা আমরা বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ পড়লেই বুঝতে পারি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে যুদ্ধ শুরু করে ভাষা আন্দোলন করেন। জেলে বসে অনশন করেন।সমস্ত সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু হয়েছেন।তাইতো ফিদেল কাস্ত্রো বলেন ‘আমি হিমালয় দেখিনি,বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি’। ‘বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অনেক কিছুই জানতে হবে।যার সব কিছু ইন্টারনেটে নাই।থাকলেও নিজস্ব উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে একেক জন একেকভাবেলেখেছে।তাই সেগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের প্রকৃত তথ্য জানতে বই পড়তে হবে।তাদের বই পড়তে হবে যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানে, অংশগ্রহণ করেছে।এই বই মেলার মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেছি।বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে আমাদেরও বই পড়তে হবে।’বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণ’। তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন বিশ্বের অন্যান্য নেতাদের ভাষণ ছিল লিখিত।কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য লিখিত ছিলনা।বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে যারা দুর্নীতি করে তাদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ও আঃলীগ নেতা আঃ হক সাহেব,করিম চেয়ারম্যান,আঃরউফ শরীফ, জাহিদুল বিশ্বাস,বাবলু চেয়ারম্যান,তবিবর রহমান সর্দার,ইউছুফ আলী ডাক্তার, সিরাজুল ইসলাম,ফজলুর রহমান,গুম হওয়া নেতা তারিকুল ইসলাম তুহিনের নাম স্বরন করেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বেনাপোল পৌর শাখার আহবায়ক কামরুজ্জামান তরুর সভাপতিত্বে এবং আয়োজনটির সমন্বয়ক শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ বেনাপোল পৌর শাখার মহাসচিব ফারুক হোসেন উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন-শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, কমান্ডার শার্শা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মোজাফফর হোসেন ও ডেপুটি কমান্ডার নাসির উদ্দীন,যশোর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসিফ-উদ-দৌলা অলোক সর্দার,যশোর জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল মুকুল,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন,শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান অহিদ,কমান্ডার বেনাপোল পৌর কমান্ড শাহ আলম হাওলাদার,শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃরহিম সর্দার ও সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন রাসেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী মন্টু,সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন,বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন জোয়ার্দার,সাধারন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আল-ইমরান,আরিফ হোসেন রুবেল,আশিকুর রহমান,কবির, আওয়াল,জুয়েল,হারুন,ওসমান গনি প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বই মেলা আমাদের প্রাণের মেলা কিন্তু আমাদের কতগুলো দিক সতর্কতার সাথে দেখতে হবে। বর্তমানে উপযুক্ত সম্পাদক,প্রুফ রিডারের অভাবে বইয়ের মান রক্ষা করা সম্ভব হয় না।তিনি বলেন, প্রতিবছর প্রচুর বই প্রকাশ হয় কিন্তু পাঠক সে অনুযায়ী বই পড়ে না।আমাদের পাঠক বান্ধব লাইব্রেরি,প্রকাশনী করতে হবে। বংঙ্গবন্ধুর আত্নজীবনী নিয়ে চলচিত্র প্রর্দশনীর মাধ্যমে বাংলার জনগনের মাঝে পৌছায় দিতে হবে।তিনদিন ব্যাপি বুধবার-শুক্রবার অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে বই মেলা, হাতের লেখা প্রতিযোগীতা,চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা,চলচিত্র প্রদর্শনী সন্ধ্যা,প্রতিযোগীতাদের মাঝে পুরস্কার ও গাছের চারা বিতরন।সবশেষে প্রয়াত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,সকল মুক্তিযোদ্ধা ও আঃলীগ নেতাদের স্বরনে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর