অন্ধ রহিমা খাতুনের মানবতার জীবন

সাতক্ষীরা এক অসহায় রহিমা, দু’চোখে পুঞ্জিভূত হয়ে আছে বেদনার মেঘ, তার একটায় আর্তি আমার একটি প্রতিবন্ধী অথবা স্বামী পরিত্যাক্ত কার্ড হতো তাহলে কষ্টটা একটু কম হতো। অশ্রসিক্ত হয়ে জানালেন সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১নং ধানদিয়া ইউনিয়নের পাঁচ পাড়া গ্রামের মৃত আকামত সরদারের কন্যা রহিমা খাতুন(৩৮)। জন্মের পর পিতাকে দেখিনী। মাতা জরিনা বেগমের কাছে মানুষ। মাতা জরিনা বেগমের মৃত্যুর পর বিভিন্ন জায়গায় চেয়ে চেয়ে খেয়ে বেঁচে আছি। এখান থেকে ১৫ বছর আগে এলাকার লোকজন থেকে বিয়ে দেয়। শাররিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কয়েক দিন পর ফেলে রেখে চলে যায়।

রহিমা খাতুন আরও জানান, আমার রক্তের সম্পর্কের কেউ নেই। একটি কার্ডের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বরকে অনেক বলেছি কোনো কার্ড দেয়নি। আমার কার্ডের জন্য বলে দেওয়ার মতো কেউ নেই। আমি আগের মতো চলতে পারি না। ভিক্ষা করে খাব চলতে পারি না। দিন দিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমার কথা কেউ শোনে না। এ ব্যাপারে ১নং ধানদিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আসলে রহিমা খাতুন কার্ড পাওয়ার যোগ্য কার্ড হাতে না থাকায় দিতে পারছি না। আগামীতে কার্ড আসলে চেষ্টা করবো। এলাকাবাসী অসহায় রহিমা যাহাতে কার্ড পেতে পারে তাহার জন্য জেলা সমাজ সেবা অফিসার ও জেলা প্রশাসকের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর