কলাপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই শেষ সময়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পাড় করছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। তবে সরকার দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থী না থাকলেও সতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দীতায় সরব রয়েছে নির্বাচনী মাঠ। চলছে ভোটারদের মন জয়ের শেষ সময়ের যুদ্ধ।

কলাপাড়া প্রেসক্লাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্র দখলের আশংকা, ভোটারদের হুমকি, ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা প্রদান ও খুন জখমের আশংকা করে পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

জানা গেছে , উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম রাকিবুল আহসানের সাথে কঠিন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ন হবে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উপজেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ আখতারুজ্জমান কোক্কা। দুই পক্ষের সমর্থকরা কলাপাড়া এবং কুয়াকাটা পৌরসভা সহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা ছোট খাটো সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ছে।

এদিকে শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় বসে নেই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল আলম বাবুল (টিউবওয়েল) এর সাথে ভোট যুদ্ধে লড়াই করছে যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল (চশমা) প্রতিক ও সাবেক ছাত্র নেতা স্কুল শিক্ষক মরহুম শাজাহান স্যারের জ্যেষ্ঠপুত্র মো.নিজাম উদ্দিন নিজাম (তালা) প্রতিক নিয়ে।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও সাবেক সাংসদ মরহুম মো:আনোয়ারুল ইসলামের যোগ্য উত্তরসূরী শাহিনা আকতার সীমা (হাঁস) প্রতিক, কলাপাড়া পৌর সভার পদত্যাগী মহিলা কাউন্সিলর উম্মে তামিমা বিথী (ফুটবল) প্রতিক ও সাবেক এমসিএ মরহুম সৈয়দ আবুল হাসেমের কনিষ্ঠ পুত্রবধু লাইজু হেলেন লাকী (কলস) প্রতিক নিয়ে শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন আফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ২৫৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৬ হাজার ৪২০ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৩৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭৪টি। কে হবেন উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান। এখন শুধু ৩১ মার্চ নির্বাচনের অপেক্ষা। তবে সাধারণ ভোটাররা বলছেন অবাধ ও সুষ্ঠ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হলে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তারা।

উপজেলা নির্বাচন সহকারী রিটার্ণিং অফিসার ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তানভীর রহমান জানান, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরাপক্ষ নির্বাচনের লক্ষে ইতোমধ্যে বিজিবি ও ম্যাজিষ্ট্রেট কলাপাড়ায় অবস্থন করেছে। আশাকরি শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর