ডিমগুলিতে হালকা নীলচে ভাব। বয়ামে ঠাসাঠাসি করে রাখা। কদ্দিন ধরে রাখা সেগুলি? প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, অনেক অনেক দিন…। সমাধিক্ষেত্রের গায়ে লেখা হিসেব বলছে, ২,৫০০ বছরের পুরনো। তবু, বাইরে থেকে সেগুলি আজও অক্ষত। ভাঙা কেবল একটি ডিম।
চিনের এক সমাধিক্ষেত্র থেকে সম্প্রতি ওই জারটি আবিষ্কার করেন সে দেশের প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মৃতদেহের সঙ্গে ওই জারটিও কবরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। তবে, ভিতের সাদা ও কুসুমের বেশিটাই আর নেই। বাইরের খোলসর্বস্ব! লবণ দিয়ে ডিমগুলি জারে জারিয়ে রাখা হয়েছিল কি না, প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। তবে, আশাবাদী ডিএনএ টেস্ট করলেই তা জানা যাবে।
বয়সে অনেক পুরনো হওয়ায়, ডিমগুলি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। যে কারণে জার থেকে তুলে তাঁরা গুনতে পারছেন না। বিকল্প হিসেবে এক্স-রে’র উপর নির্ভর করছেন। চিনা প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, এক্স-রে করেই তাঁরা ডিমের সংখ্যা গুনে নিতে চান।