জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল থেকে নবজাতক উদ্ধার

ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। জাবি’র বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজির হলের একটি কক্ষ থেকে এই নবজাতক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নবজাতকের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম আবর্তনের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী।

এব্যাপারে হলের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানা গেছে, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রীর রুমমেট ও আশেপাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা তার প্রসব বেদনার কথা জানতে পারেন। বিষয়টি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে জানালে কর্তব্যরত নার্স এসে ছাত্রীকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন।

তবে এর আগেই সন্তান ভূমিষ্ট হলে, কাউকে না জানিয়ে মা নবজাতকটিকে তার কক্ষের ট্রাঙ্কে তালাবদ্ধ করে রাখেন। পরে ওই ছাত্রীকে এনাম মেডিকেলে নেয়ার পর তার কক্ষে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পেলে বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে আসে। এসময় তাদের উপস্থিতিতে হল প্রশাসন খোঁজাখুজি করে কক্ষে থাকা ট্রাঙ্ক এর তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে। পরে নবজাতককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাচ্চাটিকেও এনাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, নবজাতককে যখন মেডিকেলে আনা হয়, তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। পরে অক্সিজেন দিয়ে স্বাভাবিক করে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে হলে গিয়ে কান্নার আওয়াজ শুনে ট্রাঙ্ক ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করি এবং এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাই।

তিনি আরও জানান, তথ্য গোপন করাটা অপরাধ। অনেক বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। এই ঘটনা তদন্তে হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক লাবিবা খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।