শার্শার স্কুল ছাত্রী নিপার উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা

যশোর শার্শায় জিপের চাপায় পা হারানো মেধাবী স্কুল ছাত্রী নিপাকে প্রশাসন থেকে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিকিৎসা খরচসহ সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে উল্লখযোগ্য ভাবে কোন আর্থিক সহযোগিতা করা হচ্ছে না।আর চালকেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি বলে (বৃহস্পতিবার ২৮ শে মার্চ) সরোজমিনে নিপার মা মুসলিমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন।

তার মেয়ে নাভারণ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর একজন মেধাবি ছাত্রী। সে গত কয়েকদিন আগে পঞ্চম শ্রেণীতে মেধাবৃত্তির ফলাফলে ট্যালেন্টপুলি বৃত্তি পেয়েছে।মেয়েকে নিয়ে তিনি চারদিকে ধুয়াশা দেখছেন।অনেক আশা ছিল মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন।এখন সেই স্বপ্ন পূরণ করাতো কঠিন ব্যাপার মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠেতে পারবেন কিনা এ চিন্তায় তার ঘুম-খাওয়া নেই।তার বাবা একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে।পরিবারের তেমন অধিক সম্পদও নেই।

তার পক্ষে উন্নত চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা খুব কঠিন।ঘটনার দিন জেলা প্রশাসক নিজে ও নাভারনে শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধনে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসাসহ ও আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।কিন্তু ঘটনার সাতদিন পার হলেও তারা সেই আর্থিক সহযোগিতা পাননি।জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র দশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা।কৃত্রিম পা লাগিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। পরিবার,আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তার মেয়ের চিকিৎসা করা হচ্ছে। তার মেয়ের ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়।উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে কৃত্রিম পা লাগিয়ে মেয়ে আবারো স্কুলে ফিরিয়ে আনতে তিনি “বাংলার মাটি বাংলার মা” জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃর্ষ্টি কামনা করেন।তাহলে মেয়েটি কারো বোঝা হয়ে থাকবে না। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হতে পারবে।

নিপার বাবা রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেয়েটি যেন সমাজের বোঝা না হয়।সেই জন্য প্রশাসনের কাছে উন্নত চিকিৎসা ও ঘাতক চালককে উপযুক্ত শাস্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।তিনি মাস্টার্স পাশ। প্রধানমন্ত্রী তার একটি সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে তার সকল দুঃচিন্তার অবসান হতো।

এদিকে শার্শা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,নিপাকে প্রশাসন থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য হসপিটালে তদারকি করা হচ্ছে।জেলা প্রশাসক নিজে তাদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন।ঘাতক চালককে আটক করতে শার্শার পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য,গত বুধবার(২০শে মার্চ)জিপ গাড়ির চাপায় নাভারণ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মিমতাহুল জান্নাত নিপার শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।এ সময় তার সাথে থাকা স্মৃতি ও রিপা নামে আরো দুই স্কুল ছাত্রী আহত হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর