রামগতিতে নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষ, আহত-২০

লক্ষ্মীপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সঘংর্ষের ঘটনায় রামগতি উপজেলায় পরাজয় প্রার্থী ও বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৬৫ জনকে আসামী করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রামগতি থানায় বিজয়ী প্রার্থী সোহেল চেয়ারম্যানের সমর্থক আশরাফ উদ্দিন ২৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অন্যদিকে একই ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদের সমর্থক রুহুল আমিন।
গত ২৪ মার্চ রামগতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরাফ উদ্দিন সোহেলের নিকট নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ পরাজিত হন।

পরের দিন ২৫ মার্চ সকালে রামগতি বাজার ও হাজিরহাট বাজার এলাকায় শরাফ উদ্দিনের উৎসুক সমর্থকদের পরাজিত প্রার্থী ওয়াহেদের সমর্থকরা দা-চেনি, লোহার রডসহ দেশিয় অস্ত্রস্বস্্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের আহত হয় অন্তত ১৫ জন। ২৬ মার্চ পুনরায় রামগতির টাংকি বাজারে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের উপর হামলা চালায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা । এতে ৫ জন আহ হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতাল ও রামগতি উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলো, সামছুদ্দীন, মেহরাজ, মোঃ রাসেল, যুবরাজ, খোকন, মাইন উদ্দিন, নুরনবী, আব্দুল গনি, দিদার হোসেন, মান্নান মাঝিসহ ২০জন।

নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা থানায় মামলা হয়েছে স্বীকার করে রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ আরিচুল হক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলা করেছে। এতে উভয় পক্ষের আসামী অজ্ঞাতনামাসহ প্রায় ৬৫ জন। এসব মামলা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।