আখাউড়ায় ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে দর্জি কারিগররা

রমজান এসে গেলেই যেন ঈদের হওয়া শুরু হয় মুসলিম সমাজের মানুষের মধ্যে। ঈদ মানেই যেন আনন্দ খুশি ও নতুন কাপড়। আর এর ই অংশ হিসবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জি কারিগররা।

এক মাস আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য সিয়াম সাধনা করে ঈদের দিন যেন নতুন কাপড় পরে ঈদের নামাজটা আদায় করতে পারে মানুষ তাই দিন-রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন দর্জি কারিগররা।

গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত পোষাক কারিগররা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোষাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দ। দর্জিপাড়ার কর্মব্যস্ত কর্মীরা। জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারি।

পৌর শহরের সড়ক বাজারে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যাকটি দর্জির দোকান ঈদের নতুন জামা তৈরিতে ব্যস্ত। রোজার প্রথম থেকে কাপড় তৈরির অর্ডার নেওয়া শেষ করা হয় এবং ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কাজ করা ও ডেলিভারি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দর্জি মালিকরা।

পৌর শহরের সড়ক অবস্থিত, আলিফ টেইলার্স এর স্বত্বাধিকার মোঃ মাজেদুল হকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সাধারণ সময়ের থেকে ঈদকে সামনে রেখে রমজানে আমাদের অনেক বেশি পরিমাণ কাজ করতে হয়। রোজা র প্রথম থেকেই কাস্টমার কাছ থেকে প্রচুর পরিমান অর্ডার পেয়ে থাকি, এই অর্ডার গুলো সম্পূর্ণ করতে দিন-রাত কাজ করতে হয়। আজ ৮ম তম রমজান এখন পর্যন্ত ৪০০ পাঞ্জাবির অর্ডার পেয়েছি আশা করছি এই অর্ডারের সংখ্যা ৫০০-৬০০ ছাড়িয়ে যাবে। আমার এখানে আমিসহ ৪ জন কারিগর কাজ করে যাচ্ছে। আর আমাদের ব্যবসার একটা বড় সময় হল এই ঈদকে সামনে রেখে। আমি আশা করছি এই রমজানে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ব্যবসা করতে পারব।

দর্জি কারিগর ইকবালের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি কাপড় সেলাই করছি। এখন স্বভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৮০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি। আশা করছি এইবার আমরা পরিবার নিয়ে ঈদ ভালোই কাটাবো।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর