বিল না দিলে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিল না দিলে সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই হোক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ডিপিডিসির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) প্রকাশনা ‘এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ’ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রকাশনায় বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক সচিব আবুল কালাম আজাদ, ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম তামিম, সিনিয়র সাংবাদিক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনসহ অনেকের লেখা স্থান পেয়েছে।

আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা, ব্রিটেনে ১০/১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমাদের অর্জন নিয়ে গর্ববোধ করি। পাকিস্তান ডেইথ কান্ট্রি, শেম কান্ট্রি। সেখান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক এই উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল অর্ধেক। ৫২ বছর পরে আজকে পাকিস্তানের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতের চেয়ে তারা ৫ বছর পিছিয়ে। আমি খয়ের খা হিসেবে নয়, তাত্ত্বিকভাবে এটা প্রমাণ করে দিতে পারি। বাংলাদেশের আর্থিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন হয়েছে।

ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের দাম হয় জ্বালানির উপর, জ্বালানি স্বল্প পরিমাণে উৎপাদন করি। জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের উপর নির্ভরশীল। দামটা স্থিতিশীল না হলে বলা সম্ভব না। আমি মনে করি যুদ্ধ বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে শকড্‌ হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।

হাইব্রিড কুকিং নিয়ে গবেষণা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফলাফল ভালো খরচও কম, আমরা ১০ বছর পরে হাইব্রিড কুকিংয়ে যেতে পারি। সোলারের ইরিগেশনে যেতে পারি।

গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কনকো ফিলিপস’ চলে গেল দামের ইস্যু তুলে। আমরা ‘পসকো দাইয়ু’ ডেকে এনেছি। এখন ‘এক্সন মবিল’ আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।

এখনই কয়লা উত্তোলনের কোনো পরিকল্পনা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা তুলতে হবে, কয়লা বসে আছে পানির ওপরে। যে পানির স্তর বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। আরেকটি বিষয় রয়েছে উর্বর মাটি, এসব বিবেচনা করে দেখলাম। কয়লার সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে, কয়লা এবং তেলের চেয়ে উর্বর জমি খুবই জরুরি। যে কারণে এখনই কয়লা উত্তোলনের চিন্তা করা হচ্ছে না।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর