ঝিনাইদহে নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রথম জানাযা সম্পন্ন

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রথম জানাজা ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯মার্চ) বাদ যোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সাংসদ আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ ২ আসনের সাংসদ ও নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, জেলা প্রশাসক মুনিরা বেগমসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনের সর্বোস্তরের কর্মকর্তা ।

এর আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরে আলম সিদ্দিকীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। জানাযার পরই তার লাশবাহী হেলিকপ্টার ঝিনাইদহ বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান ষ্টেডিয়াম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, বুধবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়। নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৪০ সালের ২৬ মে যশোরের ঝিনাইদহ মহকুমায় (ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ পাড়া) জন্মগ্রহণ করেন।

এরপর নূরে আলম সিদ্দিকী ৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন।

তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রারম্ভে ১৯৭০ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হোন। ওই সময় স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কও নির্বাচিত হোন নূরে আলম সিদ্দিকী। দেশ স্বাধীনের পরে তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। তবে ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসনে পরাজিত হয়েছিলেন।

তারা আরো বলেন, মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বাবার মৃত্যুতে ছেলে সংসদ সদস্য হজীব আলম সিদ্দিকী সমি বলেন, আমার বাবাকে আপনারা মাফ করে দেবেন । তিনি যদি কোনো অন্যায় করেন, তাকে ক্ষমা করবেন । হে আল্লাহ, আপনি আমার পিতাকে কবুল করুন ।

তার মৃত্যুতে ঝিনাইদহ শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর