তিন লাখ টাকায় আশ্রয়ের ঘর বিক্রি! দেড় মাসে উদ্ধার করতে পারেননি প্রশাসন

জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বার্তা বাজারে ‘শাহজাদপুরে আশ্রয়ণের ঘর ৩ লাখ টাকায় বিক্রি!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও ঘর উদ্ধার করতে পারিনি উপজেলা প্রশাসন।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাম্ভিকতার সাথে তিনি প্রতিবেদককে জানান, বার্তা বাজারে সংবাদ প্রাকশ হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার ভূমি সাথে আশ্রয় প্রকল্প ১৯নম্বার ঘরটি সংবাদের সাথে সত্যতা মেলেনি।

কিন্তু সোমবার ২৭মার্চ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ১৯নং ঘরের উপকারভোগী বেলতৈল ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব এর স্ত্রী সাহেদা বেগমের ঘরে এখনো স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ঘরটি কিনে সেখানে বসবাস করছেন আসমা বেগম তার সন্তাদের নিয়ে। নাম প্রকাশ করার না শর্তে উক্ত আশ্রয় প্রকল্প অনেক ভুক্তভোগী জানান, ইউএনও স্যার এসে বলে গেছেন আপনারা থাকেন কোনো সমস্যা নেই।

তত্র এলাকায় গুনজন রয়েছে ইউএনও লিয়াজু করে তাদেরকে থাকতে দিয়েছে। গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদাহ দক্ষিণ পাড়ার আশ্রয় প্রকল্পের সাতটি ঘর বিক্রি নিয়ে গত নভেম্বর মাসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও সেই ঘর গুলো আজও উদ্ধার করতে পারেননি ইউএনও সাদিয়া আফরিন।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলায় আবারও সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে।

কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে বরাবরই মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প—২ ঘর নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ সুবিধাভোগী বাছাইয়ে বিভিন্ন সময় উঠেছে নানা অভিযোগ। কিন্তু প্রতিবারেই প্রশাসনের রয়েছে নিরব ভূমিকা।

সরজমিনে গিয়ে মেলে অভিযোগের সতত্যা, মশিপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ১৯নং ঘরের বরাদ্দ পান বেলতৈল ইউনিয়নের তেলকুপি গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাব এর স্ত্রী সাহেদা বেগম। এখন স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ঘরটি কিনে সেখানে বসবাস করছেন আসমা বেগম তার সন্তাদের নিয়ে।

উপজেলা সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্প—২ এর তৃতীয় পর্যায়ের ২য় ধাপের ২০ টি ঘর নির্মাণ হয় মশিপুরে। এক একটি ঘর নির্মাণে সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫’শ টাকা। পাশাপাশি ঘরের জন্য জমিতো বরাদ্দ আছেই।

সরেজমিনে গিয়ে তথ্যনুসন্ধানে আরও তিনটি ঘরের বিক্রির অভিযোগ পাওয়া যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬ নং ঘরের বরাদ্দ পায় পোরজনা ইউনিয়নের বড়মহারাজপুর গ্রামের মৃত তারা মোল্লার স্ত্রী সাজেদা খাতুন কিন্তু সে ঘরে বসবাস করছে ১৩ নং ঘরের বাসিন্দা রাসেল মিয়া দম্পতি আর ১৩ নং ঘর কিনে বসবাস করছে স্বাধীন দম্পত্তি। ২০ নং ঘরের বরাদ্দ পায় বেলতৈল ইউনিয়নের বেতকান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন দম্পতি কিন্তু ঘরটি কিনে বসবাস করছে মাসুদ দম্পত্তি। আর ১৭ নং ঘর বিক্রির অভিযোগ থাকলেও সেখানে কেউ না থাকায় কে বসবাস করছে তা জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে আসমা বেগম টাকার বিনিময়ে ঘর কেনার কথা স্বীকার করে বলেন, বড় ছেলে বিয়ে করেছে সেখানে বৌ নিয়ে থাকে। আমার ছোট ছেলেও বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে তাই আগের সুবিধাভোগীর কাছ থেকে টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ঘরটি আমরা কিনে আমরা বসবাস করছি। তবে এ বিষয়ে সুবিধাভোগীদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর