সাভারে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস-২৪ মার্চ পালিত

যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে প্রতিবছর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার সাভারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিভিন্ন এনজিওদের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকালে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদার নেতৃত্বে র‍্যালিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

পরে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘হ্যা! আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি’। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা. সায়েমুল হুদা।

অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডা. আরমান আহমেদ সহ বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ অংশগ্রহণ করেন।

বার্তা বাজারকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা জানান, যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হচ্ছে। আগামীকাল ২৪ মার্চ সরকারি বন্ধের দিন বিধায় আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আজ (২৩ মার্চ) দিবসটি পালন করেছি।

তিনি বলেন, যক্ষ্মা একটি ছোঁয়াচে রোগ। যে কোন বয়সী নারী পুরুষের যে কোন সময় যক্ষ্মা হতে পারে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।

হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন অথবা হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। ব্যবহারের পর রুমাল ধুয়ে ফেলুন অথবা টিস্যু নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে দিবেন। হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। কফ, থুথু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

সায়েমুল হুদা জানান, যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হলে পূর্ণমেয়াদে চিকিৎসা নিতে হবে। যক্ষ্মা আক্রান্ত কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং যক্ষ্মা রোগীদের প্রতি অবহেলা করা যাবে না।

ডা. হুদা বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচি যক্ষ্মা নির্মূলে এবং যক্ষ্মার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিনামূল্যে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ ও তাদের চিকিৎসা সেবার আওতায় নিয়ে এসে ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য।

বার্তা বাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর