বৃষ্টিতে ম্লান টাইগারদের রেকর্ড সংগ্রহ, ম্যাচ পরিত্যক্ত

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার পর থেকেই উড়ছে বাংলাদেশ দল। ইংরেজদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারলেও চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। এরপর তো টি-টোয়েন্টিতে তাদের গুঁড়িয়ে দিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছে টাইগাররা। এরপর থেকেই ক্রিকেট মাঠে যেন রীতিমত উড়ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।

ইংল্যান্ড বধের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ঝড় চলছে পড়েছে অ্যান্ড্রু বালবির্নির আয়ারল্যান্ড দলের ওপর। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৩৮ রান করে রেকর্ড ১৮৩ রানের জয় পেয়েছিল তামিম ইকবালের দল।

সোমবার (২০ মার্চ) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে আগের দিনের সেই রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত সময়ে রেকর্ড ৩৪৯ রানের সংগ্রহ পান টাইগাররা। এই ম্যাচে ৬০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।

তবে মুশফিকের ঝোড়ো ইনিংসের পরেই সিলেটে হানা দেয় বৃষ্টি। তাই বাংলাদেশ বোলিংয়ে নামতেই পারেনি। এরপর আম্পায়াররা ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কাট-অফ সময় ধরেন ৯টা ৩৩ মিনিট পর্যন্ত। তবে এর ঘণ্টাখানেক আগেও বৃষ্টি না থামায় রাত ৮টা ৩২ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে মুশফিক, টাইগারদের রেকর্ড সংগ্রহের ম্যাচ ভেস্তে গেছে।

সিলেটে এদিনও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। বৃষ্টি নামার আগে অবশ্য বাংলাদেশ নিজেদের ইনিংসে পুরো ৫০ ওভারই ব্যাটিং করেছে। ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান।

ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ দেখেশুনে করেছিলেন তামিম ইকবাল আর লিটন দাস। তবে দলীয় ৪২ রানের মাথায় রানআউট হয়ে ৪টি বাউন্ডারিতে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম। এ বছর ব্যাট হাতে ভালো করতে পারছিলেন না লিটন। তবে আজ ছক্কা মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন। তবে ৫৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া লিটন ৭১ বলে ৭০ রান করে কুর্টিস ক্যাম্ফারের বলে বিদায় নেন।

লিটনের বিদায়ের পরে নাজমুল শান্তও ৫৯ বলে ফিফটির দেখা পেয়ে যান। সাকিবও ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করার ইঙ্গিত দেন। তবে ১৭ রানে থাকাকালে নিজের ধৈর্য ধরে রাখতে ক্যাচ আউট হয়ে বিদায় নেন। সাকিবের বিদায়ের পর নাজমুল শান্তও উইকেটের পিছনে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হন। এতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি করে ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন তিনি।

কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে রীতিমত তাণ্ডব চালান মুশফিকুর রহিম আর তরুণ তাওহিদ হৃদয়। মারমুখী ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের কোণঠাসা করে ৭৮ বলে ১২৮ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন তারা। তবে হৃদয় আজও হতাশা নিয়ে ফিরেছেন। প্রথম ম্যাচে ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা এই ব্যাটার ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৯ রান করেন।

এই জুটিতে ভর করেই বড় সংগ্রহের ভিত হয়ে যায়। যার শেষটা করেন দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে বড় রানে ফেরা মুশফিক। ৬০ বলে ১৪ বাঊন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজানো হার না মানা ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি উপহার দেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এতে নির্ধারিত সময়ে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর