তেঁতুলিয়ায় মঞ্চ নির্মাণের নামে গাছ কর্তন

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বালাবাড়ী় দাখিল মাদ্রাসার ১ টি কৃষ্ণচূড়া গাছ ও চারটি আম গাছের বড় ধরনের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি অবৈধভাবে গাছটি বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, কোন প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার প্রয়োজন হলে আগে আমাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে জানাননি। লিখিত ভাবে জানানোর পর নিলামের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করতে পারবেন। শিলাইকুঠি বালা বাড়ী দাখিল় মাদ্রাসার গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগকে জানানো হয়নি। গাছগুলো অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে কাটা হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে ওই মাদ্রাসায় দেখা যায়, ১ টি কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। চারটি আম
গাছের ডালপালা কাটা হয়েছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: আমিন আলী বলেন, আমরা ভাই মাদ্রাসার ষ্ট্রেজ বানানোর জন্য কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছটি ১৫০০ শত টাকায় বিক্রি করেছি। ইউএনও স্যার আমাদের গাছ কাটা অনুমতি দিয়েছে। আর বিশেষ করে আমরা কমিটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছটি কেটেছি। এতে বন বিভাগের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাদ্রাসার মাঠে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে কয়েকটি মেহগনি, আম ও কৃষ্ণচূড়া এই গাছটি লাগানো হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন মাদ্রাসার শিক্ষক বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। আমরা মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে ষ্টেজ বানানোর জন্য গাছটি কাটা হয়েছে।

মাদ্রাসার সুপার বদরুল আলম সরকার বলেন, আমরা রেজুলেশনের মাধ্যমে ও ইউএনও স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছটি কেটেছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সওকত হোসেন বলেন, বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটতে হবে। আমার কাছ হলো শিক্ষা নিয়ে দেখা।আমি শিলাইকুঠি বালাবাড়ী় দাখিল মাদ্রাসার গাছ কাটার ঘটনাটি জানি না।

তিনি আরো জানান আপনার পত্রিকায় লেখেদেন।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর