বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে আগের বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা এগিয়েছে বাংলাদেশ। সূচকে বাংলাদেশকে ‘মডারেট’ তথা ‘মাঝারি মানের’ বিবেচনা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক-২০২২ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এদিন সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে যৌথভাবে বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক-২০২২ (জিএইচআই) প্রতিবেদন প্রকাশ করে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ। সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯.৬, যা ২০১৪ সালের তুলনায় শতকরা ২৫.৫ ভাগ উন্নতি।

২০১৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬.৩, যা ক্ষুধা সূচকে গুরুতর বলে বিবেচিত হয়। তবে ২০১৪ সাল থেকে দেশে অপুষ্টি, শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। শিশু মৃত্যুহার পূর্ববর্তী বছরগুলোতে বেশি ছিল। ২০১৪ সালের ১৪.৪ শতাংশের তুলনায় বর্তমানে তা ৯.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

দেশে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে স্টানটিং তথা শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার হার ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। এটাকে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। দরিদ্র-বান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্যানিটেশন ও জনমিতিগত একাধিক ফ্যাক্টরের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

এদিন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা সূচকে শূন্যের কোঠায় চলে আসবে দেশ।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনীশ কুমার আগরওয়াল বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা এবং জিএইচআই অনুযায়ী পুষ্টিসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে; তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর