রমজানের আগেই অস্থির বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকরি বাজার

পবিত্র মাহে রমজানের বাকি আরও দেড় মাস, তবে এর মধ্যেই অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকরি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। বেড়েছে ছোলা, মটর, খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছে, সময়মত এলসি খুলতে না পারায় তৈরি হয়েছে এমন পরিস্থিতি।

দেশের মোট আমদানি রফতানির ৯৪ শতাংশই হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের তথ্য মতে গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে কমেছে ভোগ্যপণ্য আমদানি। এই অর্থবছরে জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে ছোলা আমদানি হয়েছে ৪০ হাজার টন যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ৯৩৭ টন। এবার প্রথম সাত মাসে খেজুর আমদানি হয়েছে একত্রিশ হাজার ৩৮৫ টন যা গেলো বারের তুলনায় প্রায় পনেরো হাজার টন কম।

আমদানি কমার এই প্রভাব পড়েছে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে। এরই মধ্যে বেড়েছে ছোলা, চিনি, খেজুর, তেল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম। একমাস আগেও যেখানে মান ভেদে ছোলার দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা। খেজুরর দামও বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। সরকার চিনির দাম প্রতি কেজি ১০৭ টাকা ঠিক করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। এছাড়া মটর ডালের আমদানি কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। ফলে মটর ডালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় বড় শিল্প গ্রুপ ছাড়া ছোট বা মাঝারি ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে না পারায় সময়মতো আসছে না ভোগ্য পণ্য। এছাড়াও ডলারের বাড়তি দামের কারণেও বাড়ছে আমদানি খরচ।

রমজানে তেল ও চিনির চাহিদা থাকে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টন। খেজুরের চাহিদাও থাকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টন। তাই নির্ধারিত সময়ে পণ্য বাজারে আসতে না পারলে বাজার আরো অস্থির হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে খাতুনগঞ্জে অভিযান চালানো হলেও খুব একটা লাভ হচ্ছেনা। ফলে রমজানের ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এখন থেকেই সরকারের কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর