আদর্শ প্রকাশনীকে মুচলেকা দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

যে তিনটি বইয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে ওই বইগুলো স্টলে রাখা হবে না এই মর্মে মুচলেকা দাখিলের জন্য আদর্শ প্রকাশনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেছেন আদালত। পাশাপাশি বাংলা একাডেমির আপত্তি থাকা তিনটি বই আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

এর আগে হাইকোর্ট প্রশ্ন রাখেন যে তিনটি বই নিয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে ওই বইগুলো বাদ রেখে আদর্শ প্রকাশনীকে বই মেলায় স্টল বরাদ্দ দিলে সমস্যা কোথায়? আমরা মনে করি সমস্যা থাকার কথা না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ করে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে দায়ের হওয়া রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক আদর্শ প্রকাশনীকে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়ার আর্জি জানান। তিনি বলেন, যে বইয়ের বিষয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে স্টলে সে বই রাখা হবে না।

এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানান। তখন আদালত বলেন, যে তিনটি বই নিয়ে বাংলা একাডেমি আপত্তি জানিয়েছে ওইগুলো বাদ রেখে আদর্শ প্রকাশনীকে বই মেলায় স্টল বরাদ্দ দিলে সমস্যা কোথায়? আমরা মনে করি সমস্যা থাকার কথা না।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আয়োজিত বই মেলায় আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে বই মেলায় আদর্শ প্রকাশনীর জন্য স্টল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

আদর্শ প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।

রিট আবেদনে আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ না দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশনা সংস্থাটিকে স্টল বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সভাপতিসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র একটি বইয়ের জন্য কাগজে-কলমে মেলাতে পুরো প্রকাশনীর অংশগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এমন সিদ্ধান্তের বাংলা একাডেমি আইন-২০১৩ অনুযায়ী কোনো বৈধতা নেই। একইসঙ্গে প্রতিবছর একাডেমি থেকে যে নীতিমালা করা হয়, তারও ব্যত্যয় ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত সংবিধানের বাক স্বাধীনতার বিরোধী।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর