তুরস্কে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প

তুরস্কের আঙ্কারা প্রদেশের আনাতোলিয়া অঞ্চলে গোলবাসি শহরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে গোলবাসিতে আঘাত হানা ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শুরুতে বড় ধরনের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪ মাত্রার কমপক্ষে ১০টি আফটারশক হয়েছে।

মূল ভূমিকম্পটি হওয়ার পর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আফটারশকের সংখ্যা ও তীব্রতা কমে আসছে। তবে, ৫ থেকে ৬ মাত্রার বেশি আফটারশক এখনও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে মূল ভূমিকম্পে নড়বড়ে স্থাপনাগুলো আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধারকারী দল এবং জীবিতদের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে।

সোমবার ভোরে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৩৭২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী কর্মকর্তা ও সংস্থাগুলো।

উভয় দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে এবং সহায়তাকারী সংস্থাগুলো সিরিয়ার বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে উদ্বিগ্ন। কারণ সেখানে আগে থেকেই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্পটি সোমবার তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগির ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে৷

এদিকে, ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরেদোয়ান সাত দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এরদোয়ান টুইটারে বলেন, আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

৮৪ বছরের মধ্যে তুরস্ক এত শক্তিশালী ভূমিকম্প দেখেনি। সবশেষ ১৯৩৯ সালে উত্তর-পুর্ব তুরস্কে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া ১৯৯৯ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইজমীতে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

সূত্র : সিএনএন, টাইমস অব ইন্ডিয়া

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর