থানায় অভিযোগ করায় গৃহবধূর ওপর হামলা, পরে মামলা

পূর্ব শত্রুতার জেরে দুজনের বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে তাঁদের হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করার কারনে বাড়িতে হামলা চালিয়ে এক গৃহবধূকে গুরুতর আহত ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামে ঘটে।

এঘটনায় সোমবার সকালে সাতজনকে আসামী করে ওই গৃহবধূর স্বামী মো. রেন্টু আলী শেখ (৪০) থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ৪। আহত গৃহবধূ মোছা. অঞ্জনা খাতুন (৩৫) বর্তমানে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর মাথায়, মুখে ও শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষত চিহৃ রয়েছে।

এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন একই এলাকার উকিল শেখের ছেলে মো: সোহান হোসেন (২৭), মৃত কেছমত শেখের ছেলে মো: কোরবান (৪৫), শেখ মতলেব শেখের ছেলে মো: বিপুল শেখ ( ২৬), দাউদ শেখের ছেলে মো: জাহিদ শেখ (২৫), আসাদুল শেখের ছেলে মো: জয় (২০), কোরবান শেখের ছেলে মো: বাপ্পি ( ২৩) ও ফজুল শেখের ছেলে মো: মিজান (২৬)। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এবিষয়ে মামলার বাদী মো. রেন্টু আলী শেখ বলেন, প্রায় দুইমাস পূর্বে জমির ধানকাটা নিয়ে এলাকার উকিল শেখের সাথে তাঁর বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সেঘটনা এলাকায় সালিসি বৈঠকে মিটমাট করে তিনি ব্যবসায়ীক কাজে মাদারীপুর গিয়েছিলেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাড়িতে ফিরলে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে উকিল শেখের ছেলে সোহান হোসেনের সাথে স্থানীয় এক মুদিদোকানের ওপর তাঁর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। ওই রাতেই বিষয়টি তিনি থানায় জানায়। সেকারনে গত শনিবার বিকেলে আসামীরা তাঁর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ আক্রমণ চালিয়ে তাঁর স্ত্রীকে গুরুতর আহত করেন এবং নগদটাকাসহ মালামাল লুটপাট করে চলে যান।

তিনি আরো বলেন, তিনি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের ফোনও নাম্বার বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে ওই এলাকার নাসিরের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন, জমির ধানকাটা নিয়ে তাঁদের বিরোধ চলছিল। এনিয়েই মাঝেমধ্যে তাঁদের তর্কবিতর্ক হতো। এবার রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ধানকাটা নিয়ে তাঁদের সামাজিক বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরেই হামলার ঘটিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। গৃহবধূর স্বামী থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর