ষড়যন্ত্র নয় সরকারের পতন রাষ্ট্রের প্রয়োজন : আ স ম রব

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ভোটারবিহীন অনির্বাচিত এবং অসংবিধানিক সরকারের পতন ঘটবে কোন ষড়যন্ত্রে নয়- সরকারের পতন ঘটবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জনগণের পরিকল্পনায়। জনগণের সম্মতিবিহীন এবং অবৈধ সরকারকে বিদায় করা জনগণের রাজনৈতিক কর্তব্য। সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা ঐতিহাসিকভাবে অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সরকারের কুৎসিত ক্ষমতা লিপ্সা রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মনীষাগতভাবে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করে ফেলেছে। এই সকল ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দিয়ে অভ্যন্তরীণ বা ভূ রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সুতরাং জাতীয় স্বার্থেই সরকারের পতন এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর আবশ্যক হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি র কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।

পুরানা পল্টনস্থ ফেনী জেলা সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, ভাগ্যের কি পরিহাস স্বাধীন দেশে আজ ভিন্নমত দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ‘হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করে কর্তৃতবাদী শাসনের সামাজিক ভিত্তি রচনা করা হচ্ছে। ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগহীন রাষ্ট্র পরিচালনার চলমান দুঃসহ ধারা অব্যাহত থাকলে একদিন আওয়ামীলীগ বিরোধী মতাদর্শীরা ক্ষমতায় এলে বঙ্গবন্ধুকেও নিষিদ্ধ করে দিবে। ভিন্নমত দমন বা কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করা ভয়ংকর অন্যায়। সেদিন পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমতকে অংকুরে বিনষ্ট করে দিলে বিশ্ব মানচিত্রে আজ আমাদের স্বাধীন অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যেত না।

আ স ম রব আরো বলেন, কর্তৃত্ববাদ বিরোধী চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীসহ সকল সমাজশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি আন্দোলনরত সকল দল ও জোটকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থার বিপরীতে প্রদেশ ও প্রাদেশিক সরকার গঠন, সংসদের উচ্চ কক্ষ ও স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকারসহ রাষ্ট্র কাঠামোতে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লক্ষ্যে ক্ষমতা কাঠামোর পরিবর্তনে বৃহৎ জোট বা দলের সাথে ঐক্যমত্য স্থাপন করা রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের এক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, হীরালাল চক্রবর্তী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ জবিউল হোসেন, জনাব সোহরাব হোসেন, এডভোকেট মিয়া হোসেন, আমিন উদ্দিন বিএসসি, অ্যাড. সৈয়দা ফাতেমা হেনা, জনাব আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, আব্দুল লতিফ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, আমির হোসেন বিএসসি, জনাব লোকমান হোসেন, অ্যাডভোকেট বিকাশ চন্দ্র সাহা, জনাব মোশারফ হোসেন, জনাব মতিউর রহমান মতি, জনাব মোঃ আমির উদ্দিন মাস্টার, অধ্যক্ষ আব্দুল মোতালেব, অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ ভূঁইয়া, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, মুজতবা কামাল, আব্দুল মান্নান মুন্সী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইকবাল খান জাহিদ, মীর জিল্লুর রহমান, অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ বাবুল, মিসেস ফারজানা দিবা প্রমুখ।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর