লোকজনের টাকা নিয়ে উধাও ফুটপাতের রাজা রাসেল

রাজধানী উত্তরার ফুটপাতের রাজা রাসেল মন্ডলকে খুজে পাচ্ছে না নিম্ন আয়ের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে রাসেল মন্ডল কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন লাপাত্তা। ভুক্তভোগী অনেকের অভিযোগ উত্তরার রবীন্দ্র সরণি রোডে দোকান বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৭০/৮০ জন থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন গা ঢাকা দিয়েছে রাসেল মন্ডল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরা জোনের বর্তমান উপ কমিশনার ফুটপাত দখল এবং চাঁদাবাজি বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি রাস্তার উপর দোকান বসানোর কারণে যানজটে নাকাল উত্তরাবাসী। মুলত ফুটপাতের দোকান বসানোর কারণে এ জটলার সৃষ্টি হয়। ভিআইপি লোকজনের অনুরোধে বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে বেশ কঠোর অবস্থানে আছে। আর রাসেল মন্ডল গং সেই সুযোগ নিয়ে দোকান বসিয়ে দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০-৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন।

অভিযোগ আছে, এ রকম প্রায় শতাধিক লোক থেকে টাকা নিয়ে পালিয়েছে রাসেল মন্ডল। তবে রাসেল পালিয়ে গেলেও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এখনো রাস্তাঘাটে মহড়া দিচ্ছে। এ চক্রটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে সঙ্খতা করে থাকে। তাদের ভয়ে নিম্ন আয়ের লোকজন ভয়ে মুখ খুলছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, রবীন্দ্র স্বরণিতে দোকান বসিয়ে দবে বলে হকারদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে লাপাত্তা হয়েছে রাসেল। ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে জাতীয় গণমাধ্যমে একাধিক নিউজ হয়েছে। হয়েছে মামলাও। এছাড়াও আটক হয়েছে কয়েকবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে । কিন্তু কিছু দিন পর আবার সে বহাল তবিয়তে আধিপত্য বিস্তার করেছে। মুলত সাধারণ মানুষের টাকা মেরে খাওয়ার জন্য সে গা ঢাকা দিয়েছে।

ফুটপাতে প্যান্ট বিক্রেতা আব্দুল্লাহ বলেন, আমি কয়েক দিন আগে দোকান করতে রাসেল মন্ডলকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি।প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হতো। ৪ দিন দোকান করার পর সরিয়ে দিয়েছে। এখন তাকে খুঁজে পাইনা ফোন দিলে ধরে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের মে মাসের সাত তারিখে উত্তরা পশ্চিম থানায় মোঃ রিপনের করা চাঁদাবাজি ও মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। যাহার মামলা নং০৮।

এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (অপারেশন) পার্থ প্রতিম বলেন, মামলাটি কি অবস্থায় আছে আমি দেখে আপনাকে জানাবো।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খালি হাতে ঢাকায় আসা রাসেল কয়েক বছরে চাঁদাবাজি করে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। উত্তরা রাজউক কমার্শিয়াল মার্কেটে রয়েছে তার পজিশন ক্রয় করা দোকান, মূল্য ১৫ লাখ টাকা। এছাড়াও দক্ষিণখান জামতলা মসজিদ সংলগ্ন সুবিশাল ফ্ল্যাট, যার মুল্য ৭৫ লাখ টাকা। গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় নিজ নামে ক্রয়কৃত দেড় কোটি টাকার জমি এবং শেরপুরের গ্রামের বাড়ীতে দামী পাথর খচিত ৪ তলা আলিসান বাড়ি।

এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার ফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

বার্তাবাজার/এ.আর

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর