সাভারে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক অভিযান

ঢাকার সাভারে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশনায় আশুলিয়া ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, লিফলেট বিতরণ ও গণসচেতনতা অভিযান পরিচালিত হয়।

‘খেজুরের কাঁচা রস খাবো না, অকালে মরবো না; বাদুর ও পাখিতে খাওয়া ফল খাবো না, নিপাহ্ ভাইরাসে সংক্রমিত হবো না; ফলমূল ধুয়ে খাবো, ভাইরাস মুক্ত থাকবো’- প্রতিপাদ্য নিয়ে বাইপাইল এলাকায় ঢাকা-চন্দ্রা মহাসড়কে আশুলিয়া ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি’র আয়োজন করে।

র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা, আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খান লিটন প্রমুখসহ আশুলিয়া ফার্মেসি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ।

ডা. সায়েমুল হুদার নেতৃত্বে এসময় স্বেচ্ছাসেবকগণ বাইপাইল কাঁচাবাজার ও সংলগ্ন এলাকায় নিপাহ্ ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করেন। এসময় এই ভাইরাসের লক্ষ্মণ ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয় সম্পর্কে ডা. সায়েমুল হুদা সাধারণ মানুষকে অবহিত করেন।

গণমাধ্যমকে ডা. সায়েমুল হুদা জানান, বাংলাদেশের মানুষের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে খেজুরের রস। কিন্তু এ রস পান নিয়ে এখনই যথেষ্ট সচেতন ও সাবধান হতে হবে। এ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই কাঁচা খেজুরের রস পান করা যাবে না। কারণ এ রসের সঙ্গে নিপাহ ভাইরাসের অনেকটাই সম্পৃক্ততা রয়েছে। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো পাখি বিশেষ করে বাদুড় যখন গাছে থাকা রসের হাঁড়ি থেকে রস খাওয়ার চেষ্টা করে তখন তার লালা রসের সঙ্গে মিশে যায়। আর সেই লালা বা মলমূত্র মিশ্রিত রস পানের মাধ্যমে মানুষের শরীরে নিপাহ্ ভাইরাস প্রবেশ করে। শুধু খেজুর রস নয়, পশুপাখির আধাখাওয়া ফলমূলের অংশ খেলেও মানব শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে।

ডা. হুদা জানান, আইইডিসিআর এর গবেষণা মতে এদেশে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুহার ৭১%। ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৩২৬ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে মারা গেছেন ২৩১ জন। অর্থাৎ দেশে এ ভাইরাসে ১০০ জন আক্রান্ত হলে ৭১ জন মারা যাচ্ছেন।

যেহেতু এ রোগের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি তাই সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি বলে জানান সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর