ভোটার খরায় ভুগছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ নির্বাচন

ভোটার খরায় চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ নির্বাচনের ভোটগ্রহন। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহন শুরু হলেও কেন্দ্রগুলোতে নেই তেমন ভোটারদের সাড়া। সরাইল ও আশুগঞ্জের অধিকাংশ কেন্দ্রগুলোতে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া তেমন ভোটারদের লাইন চোখে পড়েনি। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ভোটগ্রহনের দু ঘন্টা অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত সরাইল অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার ২৩৮ জন ভোটারের মাঝে এখন পর্যন্ত ভোট দিয়েছে ৪০ জন, কালিকচ্ছ পাঠশালা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৪শ ভোটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৭ জন।

এছাড়া আশুগঞ্জ শ্রমকল্যান কেন্দ্রে ১৬শ ভোটারের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৮ ভোট এবং রওশন আরা জলি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩১শ ভোটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪০ জন ভোট দিয়েছেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, মাঠে হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকায়, নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদেরও আগ্রহ অনেকটা কম। তকে যেহেতু এই এলাকাগুলো কৃষি প্রধান এলাকা সেক্ষেত্রে বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়তে পারে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটারনিং জিল্লুর রহমান বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কমই দেখা যাচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ শাহগীর আলম জানান, আকাশ মেঘলা হওয়ার পাশপাশি শীতকাল হওয়ায় সকালের দিকে ভোটারদের উপিস্থিতি কিছুটা কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে পারে। তবে ভোটারদের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে প্রার্থীরা ভোটারদের সঠিকভাবে মোটিভেশন করতে পারেনি। নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এরা হলো বিএনপির বহিস্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি)। তবে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এ আসনটিকে উন্মুক্ত ঘোষনা করায় এখনে আওয়ামীলীগের দলীয় কোন প্রার্থী নেই। এছাড়াও বিএনপির বহিস্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় অফিসারসহ ১হাজার ১শত পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকার পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য, র‌্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে নিরাত্তার দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রাম পুলিশ। উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

বার্তাবাজার/জে আই

 

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর