শঙ্কায় নির্বাচন স্থগিত, নির্ধারিত সময়েই ভোটের দাবিতে প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন -২০২৩ এর নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন নির্বাচনের প্রিজাডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কাজী এজাজ কায়সার। আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত স্থগিত পত্র প্রদান করেন তিনি।

অপরদিকে নির্বাচন স্থগিত করার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরে প্রতিবাদে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও পূর্বনির্ধারিত তারিখেই ভোট গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উক্ত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪ টায় যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এসংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উক্ত নির্বাচনীর প্রার্থী সাজাহান আলী, মিলন শেখ, আরিফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, নাইমুর রহমান সাগর, মোছা. সাম্মি আক্তার, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মান্নান মোল্লা সহ প্রমূখ।

লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান বলেন, ‘নিয়ম ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু এক প্রকার অনোভিজ্ঞ অদক্ষ, অরাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের ছত্রছায়ায় চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন স্থগিত করেছেন প্রিজাডিং কর্মকর্তা। এলাকায় শান্তি – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেজন্য স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পূর্বনির্ধারিত তারিখেই ভোট গ্রহণের দাবি জানান তিনি।’

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান নামের একজন প্রার্থী বলেন, এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো অবনতি ঘটেনি। ভোটারদের মাঝে উৎসব বিরাজ করছে। তিনি নির্ধারিত সময়েই ভোট গ্রহণের জন্য দাবি জানান।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন -২০২৩ এর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এনির্বাচনে বিদ্যালয়ের ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৬০৮ জন। তার বিপরীতে মনোয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্খা করে নির্বাচনের প্রিজাডিং কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিত করেছেন। স্থগিত পত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সরাসরি হাতেহাতে দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম মিলন বলেন, আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। ইতিমধ্যে ১১ জন অভিভাবক সদস্য মনোয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। কিন্তু আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে প্রিজাডিং কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে স্থগিত ঘোষণা করে স্থগিত পত্র তাঁর হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয় এলাকায় এখন পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিত অবনতির মতো কোন ঘটনায় ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।

জানতে চাইলে নির্বাচনের প্রিজাডিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কাজী এজাজ কায়সার বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ নানাবিদ অভিযোগের কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিনি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। পরবর্তী কার্যক্রম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিচালনা করবেন বলে জানান তিনি। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে কিছুই জানে বলে না জানান তিনি।

বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর