১০৮ করেও তাসকিন তোপে ২৪ রানে জয় ঢাকার
রবার্ট ব্রুসের ভাগ্য বরণ করেছে ঢাকা ডমিনেটর্স। টানা ছয়বার হারের পর সপ্তম চেষ্টায় এসে অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে নাসির হোসেনের ঢাকা। তাও লো স্কোরিং গেমে হারটাই যখন ঢাকার জন্য সবচেয়ে সহজ মনে হচ্ছিল, সেখানে আগুন বোলিংয়ের সৌজন্যে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দলটি।
মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১০৮ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো অবস্থানে থেকেও মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয় খুলনা। যার ফলে মাত্র ১০৮ রান করেও শেষ পর্যন্ত ২৪ রানের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা ডমিনেটর্স।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সৌম্যের দীর্ঘদিন পরে রানে ফেরার সুবাদে ১০৮ রান তুলতে পারে ঢাকা। টানা ৭ ইনিংসে মোটে ৪৫ রান করা সৌম্য এদিন ফিফটি করেন। ৪৫ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে এই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ১২ এবং আল আমিন করেন ১০ রান। এই তিন ব্যাটসম্যান ছাড়া ঢাকার বাকি ৮ ব্যাটসম্যান সিঙেল ডিজিটে আউট হন।
খুলনা টাইগার্সের পক্ষে এদিন নাহিদুল মাত্র ৪ ওভারে ২ মেডেন নিয়ে ৬ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। যা ইকোনমি হিসেবে বিপিএলের ইতিহাস সেরা। এছাড়াও নাসুম আহমেদ নেন ৩ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনাও শুরুতে উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। যদিও তামিম ইকবালের ৩০ রানের সুবাদে মনে হচ্ছিল, সহজে লক্ষ্য তাড়া করে ফেলবে খুলনা।
কিন্তু ঢাকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডারদের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের সুবাদে খুলনাকেও আটকে দেয় ঢাকা।
মাঝে অধিনায়ক ইয়াসির আলী ২১ রান করে কিছুটা চেষ্টা চালান। কিন্তু খুলনার পক্ষে তামিম ও ইয়াসির ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌছাতে পারেননি।
এরমধ্যে তাসকিন এদিন বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন। মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ঢাকাও শেষ ৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৪ তেই থেমে যায়।
তাসকিন ছাড়াও ঢাকার পক্ষে নাসির হোসেন এবং আল আমিন হোসেন ২টি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও সালমান ইরশাদ এবং আমির হামজা পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।
বার্তাবাজার/জে আই