মুক্তি পাচ্ছেন কুখ্যাত কিলার এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড

এক সময়ের খুলনার ত্রাস, অসংখ্য হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা খুনি এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদন্ড- কার্যকর করা হয় ২০০৪ সালে। সেই খুনি এরশাদ শিকদারের অসংখ্য খুনের সাক্ষী তার দেহরক্ষী নুর আলম এখনো জীবিত আছেন।

খুনি এরশাদ শিকদারের ১২টি হত্যা মামলার রাজসাক্ষী নুর আলম ২০ বছর ধরে কারাগারে অন্তরীণ। এখন আদালত তাকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে।

গতকাল সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান অন্য কোনো মামলা না থাকলে নুর আলমকে কারাগার থেকে মুক্তির আদেশ দিয়েছেন।

নুর আলম চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার আজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে অন্তরীণ।

এরশাদ শিকদার গ্রেফতার হওয়ার পর নুর আলম রাজসাক্ষী হন। তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে খুলনার জলিল টাওয়ার মালিকের ম্যানেজার খালিদ হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়।

২০০৪ সালের ১০ এপ্রিল মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকর হয়। এভাবে একে একে ১১টি মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে কারাগার থেকেই এরশাদ শিকদারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নুর আলম। বাকি ছিল রাজধানীর লালবাগ থানার আজিজ অপহরণপূর্বক হত্যা মামলার সাক্ষ্য দেওয়া। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট মামলাটি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন।

সোমবার (২৯ জুলাই) মামলাটির ধার্য তারিখে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিস থেকে আইনজীবী মুনতাছির মাহমুদ রহমান কারামুক্তির আবেদন করেন। বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করে কারামুক্তির আদেশ দেন। শুনানিকালে নুর আলমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে ঢাকা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. আলমগীর হোসাইন তার সঙ্গে কথা বলেন।

আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নুল আলম রাজসাক্ষী হয়ে ২০ বছর ধরে জেলে আছেন জানার পর তাদের অফিসের মাধ্যমে জামিন করিয়েছেন। খুলনার একটি মামলা তার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট আছে বলে জানতে পেরেছি। সেখানকার আইনজীবীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। ওই প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার হলেই তিনি কারামুক্ত হবেন।’

আলমগীর হোসেন বলেন, ‘১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন। নুর আলম কারাগারে থাকাবস্থায় তার ছেলে রাফী (১৮) মারা গেছেন। স্ত্রীর বিয়ে হয়েছে অন্য জায়গায়। বাড়িঘর জমিজমা এখন কিছুই নেই।’

প্রথম জীবনে নুর আলম জাহাজে চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে তিনি এরশাদ শিকদারের বডিগার্ড হিসেবে যোগ দেন।

বার্তাবাজার/কে.জে.পি

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর