স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়েনি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন জাদুঘরে!

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উড়েনি বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগারে। গতকাল ২৫ শে মার্চ দুপুরে গিয়ে বন্ধ পাওয়া যায় জাদুঘর ও পাঠাগারের দরজা।

২৬ মার্চ সকাল দশটায় গিয়েও একই অবস্থায় দেখা যায় জাদুঘরের সামনে পতাকা ষ্টেন্ডে উড়েনি জাতীয় পতাকা। স্বাধীনতা দিবসে নেই কোন কর্মসূচী। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম হানীর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার বিজয়। যে মহান বিজয়ের অন্যতম অংশিদার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন। দেশ মাতৃকার স্বাধীনতায় যিনি জীবন উৎসর্গ করে ছিলেন।

শহীদের দেশপ্রেম ও ত্যাগের মহানুভবতায় অর্জিত স্বাধীনতার বিজয় গর্বত ইতিহাস আজ এবং আগামী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও আলোকীত আগামী জীবন গঠনে সরকারী উদ্যোগে বীর শ্রেষ্ঠদের নামে তাঁদের ত্যাগদীপ্ত স্মৃতি ও বীরত্ব গাঁথার অনুকরনীয়-অনুস্মরনীয় ইতিহাস সংরক্ষণ প্রচার প্রসারে সারা দেশের ন্যায় সোনাইমুড়ী নান্দিয়া পাড়ার বাঘ পাঁচড়া গ্রামে (বর্তমানে শহীদ রুহুলআমিন নগর) প্রতিষ্ঠা পায় বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন জাদুঘর ও স্মৃতি পাঠাগার ।

যাহা সেই অঞ্চল ও এলাকাকে নব-বাতির আলোয় আলোকিত করে। কিন্তু সম্প্রতি বিগত দায়িত্বশীল পরিচালকের দায়িত্বে অবহেলা ও বর্তমানে কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি দায়িত্বে না থাকায় বলা যায় বাতির নীচে অন্ধকার বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বীর শ্রেষ্ঠের পুত্রবধু রাবেয়া বেগম জানান, বিগত প্রায় ৩ মাস থেকে জাদুঘর বন্ধ, গত ২১ শে ফেব্রুয়ারিতেও কোন অনুষ্ঠান হয়নি জাদুঘরে।

সেই থেকে অদ্যাবদী জাতীয় পতাকাও উত্তোলিত হয়নি। বীরশ্রেষ্ঠর কন্যা নুরজাহান বেগম বলেন, বর্তমানে জাদুঘরের দায়িত্বে কেউ না থাকায় এ অবস্থা।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর