৭০ ব্যক্তির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সত্তরের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাঁদের মধ্যে চীন, রাশিয়া, ইরান ও মিয়ানমারের কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস এবং বৈশ্বিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার আলাদাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবিষয়ক দপ্তর গতকাল শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৯ দেশের ৪০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।

নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইরান, মিয়ানমার, রাশিয়া, চীন, গুয়াতেমালা, লাইবেরিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া ও পশ্চিম বলকান অঞ্চলের। তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞায় ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফুনসাগা পিটিই লিমিটেডের পরিচালক দীপক যাদবের নাম রয়েছে।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের সরকার ৩০ জন বিদেশির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা বন্দি নির্যাতনসহ সেনা মোতায়েন করে বেসামরিক নাগরিকদের ধর্ষণের মতো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ব্রিটিশ সরকারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিয়া আবদুল হক নামের এক পাকিস্তানিও আছেন। তিনি অমুসলিমদের জোরপূর্বক ধর্মান্তর ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের নিষেধাজ্ঞা সেই সব জঘন্য অন্যায়ের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। ’

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনে হামলায় অংশ নেওয়া রাশিয়ার কর্নেল রামিল রাখমাতুলোভিচ ইবাতুলিন।

ইরানের কারা কর্তৃপক্ষের ১০ কর্মকর্তা যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন। এর মধ্যে আছেন রেভল্যুশনারি কোর্টের সঙ্গে যুক্ত ছয়জন, যাঁরা বিক্ষোভকারীদের সাজা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত।

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন। যুক্তরাজ্য বলেছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওই ব্যক্তিরা গণহত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

মিয়ানমারের সামরিক প্রধানের দপ্তর এবং নিরাপত্তাবিষয়ক দপ্তরও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্য বলেছে, তারা গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সংঘটিত নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। এসব নির্যাতনের মধ্যে ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার মতো বিষয়ও রয়েছে।

পৃথকভাবে বৈশ্বিক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বার্ষিক পর্যালোচনায় যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, গত বছর উইঘুর মুসলিম প্রশ্নে চীনের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে ‘ভয়ংকর নিপীড়নমূলক’ আচরণ করা হয়েছে বলে মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র : রয়টার্স

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর