‘ছদ্মবেশে’ জামায়াত-শিবির ঝামেলা করার চেষ্টা করেছে: পুলিশ

বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে জামায়াত হামলা-নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্টন সমাজ কল্যাণ মসজিদের গলিতে কিছু মুসল্লি স্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া করে।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়া পল্টনে নিরাপত্তা তদারকি করতে গিয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার সাংবাদিকদের বলেন, নামাজের সময় সাধারণ মুসল্লির ছদ্মবেশ নিয়ে জামায়াত-শিবির ঝামেলা করার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, পুলিশ সতর্ক আছে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। কোনো অপরাধীকে অথবা দুষ্কৃতকারীকে অথবা নাশকতাকারীকে অথবা জামায়াত-শিবিরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।

এ সময় সাংবাদিকরা এই কর্মকতাকে বলেন, জুমার নামাজ পড়তে আসা অনেকেই পুলিশ বাধার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে বিপ্লব সরকার বলেন, জুমার নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদের পুলিশ তাদের সহায়তা করেছে। এখানে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন ঢোকার চেষ্টা করছিল। আপনারা জানেন, এই স্লোগানটি বাংলাদেশের একটি নিষিদ্ধ দলের স্লোগান। তার মানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের ঐক্য আছে। এখন যে-ই নাশকতার পরিকল্পনা করুক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এখানে ৪০-৫০ জন ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ বলে স্লোগান দিয়েছে। তারা আসলে মুসল্লির বেশে জামায়েত-বিএনপির লোক। কারণ, আমরা জানি এই স্লোগান নিষিদ্ধ একটি দল দেয়। ১০ ডিসেম্বর যে দলটি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের সঙ্গে মিলে এই লোকজন এখানে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। তাই তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পল্টনের রাস্তা খুলে দিলেও শুক্রবার আবারও বন্ধ করার বিষয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, সময়ের ওপর নির্ভর করে নিরাপত্তা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই এলাকায় বসবাসরত নাগরিক ও কর্মরত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। যখন নিরাপদ মনে করা হয় তখন খুলে দেই। আবার কোনও ধরনের ঝুঁকি দেখলে বন্ধ করা হয়।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর