কক্সবাজারে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরোধের রোষানলে নারী ইউপি সচিব

কক্সবাজারের রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপি ইউপি সদস্যদের রোষানলে পরিষদের নারী সচিব। চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ইউপি সদস্যের বিরোধ আছড়ে পড়েছে পরিষদের সচিব স্বরূপা পালের উপর। চেয়ারম্যান কে গায়েল করতে না পেরে সচিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অন্যত্র সরাতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে অনুসন্ধানে অভিযোগ গুলো বানোয়াট বলে স্বীকার করেছেন অভিযোগকারীদেরই একজন।

ইউপি সচিব স্বরূপা পাল জানান, তিনি ২০১১ সাল থেকে চাকমারকুল ইউনিয়নের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। গেলো মাসে পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের বেলাল মেম্বার ও ৬ নং ওয়ার্ডের মঈন মেম্বারসহ আরো কয়েক জন মেম্বার মিলে যে কোন ভাবেই তাকে স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলির জন্য তদবির করার অনুরোধ জানান। কিন্তু উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বদলির আদেশ না দেয়ায় তিনি বদলি হতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সেই সুত্র ধরেই স্থানীয় কিছু পত্রিকায় দূর্ণীতির গল্প সাজিয়ে একটি পাতানো সংবাদ প্রকাশ করে। সেই সংবাদে অভিযোগকারী হিসেবে পরিষদের সদস্য বেলাল উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, রাশেদুল হক, মইনুল আলম, নুরুল আমিন, আল মর্জিনা, গুলজার বেগম এবং মরিয়ম বেগম এর নাম উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা জানতে অভিযোগকারীদের মধ্যে নূরুল আমিন মেম্বারের সাথে মুটোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, সংবাদে স্বরূপার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির বিষয় উল্লেখ করা হলেও অভিযোগ গুলো বানোয়াট। মূলত তাকে অপসারণের জন্য এভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। দূর্ণীতি না থাকলে সংবাদে আপনার নাম কেনো প্রকাশ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে, নাম দিয়েছে ঠিক কিন্তু সংবাদেতো আমার কোন বক্তব্য নেই।

এদিকে পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ছৈয়দ নূর জানান, সংবাদে নাম প্রকাশিত মেম্বাররা বিভিন্ন সময় অনৈতিক আবদার করে চেয়ারম্যানের কাছে। তারা মনে করেন চেয়ারম্যান সচিবের ইন্ধনে এসব আবদার অগ্রাহ্য করেন। কারন বর্তমান চেয়ারম্যান তিনবার জেলার শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পেছনে সচিবের সততা, নিষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে নৌকার প্রতিকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থীর ইন্ধনে চেয়ারম্যানকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি জামায়াত সমর্থীত কয়েকজন মেম্বার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ৫ নং ওয়ার্ডের রাশেদ মেম্বার বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন, সে রামুর আলোচিত মন্দির পোড়া মামলার আসামী, ৬ নং ওয়ার্ডের মঈনুল আলম মেম্বার ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক, বেলাল উদ্দীন শাহীন ওয়ার্ড জামায়াতের দায়িত্বশীল ছিলেন এবং বাকীরা বিএনপির রাজনীতি সমর্থক।

নাম প্রকাশনা করার শর্তে সাবেক এক জনপ্রতিনিধি জানান, আমিও পরিষদের দায়িত্বকালিন সময়ে সচিব স্বরূপার কোন দূর্ণীতি দেখিনি। তবে শুনেছি চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধের কারনে সচিবকে সরাতে চাইছে কয়েকজন মেম্বার।

চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদার অসুস্থার কারনে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

খাঁন মাহমুদ আইউব/বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর