কাল কক্সবাজার ভাষন দেবেন প্রধান মন্ত্রী, জানানো হবে ১১টি নতুন দাবী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণে প্রস্তুত কক্সবাজার। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) শেখ কামাল স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেবেন তিনি। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সৈকত নগরী সেঁজেছে বর্ণিল সাজে। ব্যানার, ফেস্টুন, তোরনে ছেয়েগেছে গোটা শহর। এবার নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কক্সবাজারবাসীর পক্ষে উত্তাপন করা হবে ১১ টি দাবি।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তা পৌছাতে আজ মঙ্গলবার মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল শোভাযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নিয়ে চলছে শেষ মুহুর্থের প্রচার। জনসভাস্থলে আসতে প্রতিটি উপজেলায় বাস, মাইক্রোবাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন বুকিং দেওয়া হিড়িক পড়েছে। ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারে চেয়ে গেছে পুরো পর্যটন নগরী। প্রস্তুত করা হয়েছে শেখ কামাল স্টেডিয়ামে মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে যোগদিতে নগর ও জেলার নেতাকর্মীদের প্রস্তুতির যেনো শেষ নেই।

বর্তমানে কক্সবাজারে চলছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা ব্যায়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেল লাইন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ীর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সাবরাং এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম জোন, মেরিন ড্রাইভ, মেডিকেল কলেজ, সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও ফুটবল স্টেডিয়াম, বিকেএসপি, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা নৌ ঘাঁটি, হাই-টেক পার্ক, জাতীয় সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ ৪০ টি বড় ধরনের উন্নয়ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যে কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কক্সবাজারসহ দেশবাসী সুফল পেতে শুরু করবেন।

গতকাল বিকাল সাড়ে ৪ টায় কক্সবাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আরো ১১টি দাবী জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

দাবী গুলো হচ্ছে, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, চকরিয়া উপজেলা মাতামুহুরীকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা, কক্সবাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নিত করণ, কুতুবদিয়া-মগনামার মধ্যে ফেরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষনা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ, ছয় লেনের কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণ, ঝিনুক ব্যবসায় সাথে জড়িত উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পুণর্বাসন ও স্থায়ী আধুনিক ঝিনুক মার্কেট নির্মাণ।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে কক্সবাজার শহর জুড়ে নেয়া হয়েছে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহর জুড়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজায়ার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবর রহমান বলেন, সমাবেশে অনন্ত ৫ লাখের বেশী জনসমাগম হবে। কেবল শেখ কামাল স্টেডিয়াম নয়, পুরো কক্সবাজার শহর জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ কক্সবাজার সফরে এসেছিলেন গত ২০১৭ সালের ৬ মে।

খান মাহমুদ আইউব/বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর