চলাচলের রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

চলাচলের রাস্তা নিয়ে দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। একপক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র সাংবাদিক গোকুল রায় ও তার পরিবার। অপর পক্ষে রনবীর ও তার স্বজনরা। গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন রনবীর ও তার স্বজনেরা।

শনিবার ৩ ডিসেম্বর সন্ধায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটের পশ্চিম বড়ুয়ায় নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক গোকুল রায় ও তার পরিবার।

লিখিত বক্তব্যে গোকুল রায় বলেন গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার রনবীর ও তার স্বজনেরা প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে একটি সাজানো নাটক করতে জিতেন বর্মনের উঠানে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সড়কের কথা উল্লখ করে যে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সেই সড়কটি ৬০ বছর পূর্বে বিলুপ্ত হয়েছে।ওই মহলটি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সম্পুর্ণ বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগেট কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

প্রকৃত পক্ষে ৭৩০ নং দাগের ৩০০ ফুট দৈঘের রেকর্ড ভুক্ত একটি রাস্তা রাজ বিহারী বর্মন,হরিচন্দ্র মেকার, কমালাকান্ত, জিতেন চন্দ্র এবং রনবীর গংরা কেটেফেলে ভোগদখল করে আছে।বর্তমান সেটি চলাচলের অযোগ্য।

অপদখলকৃত রাস্তাটি উদ্ধার করতে হলে তাদের অবকাঠামোর পুকুর, বাঁশঝাড় এবং দুইতলার বাড়ি ভাঙ্গার আশংকায় কয়েক জন ব্যক্তিকে দিয়ে বানোয়াট সাজানো অভিযোগ দিয়ে সাংবাদিক ডেকে এনে সংবাদ সম্মেলন করে।

উক্ত ঘটনার বিষয়টি কুলাঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব ইদ্রিস আলী, সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তা তুষার কান্তি সহ সরকারী লোকজন সরজমিন পরিদর্শনে এসে অপদখলকৃত সড়কটি পূর্ননিমানের ঘোষণা দিলে দখলদাররা চরমভাবে আতঙ্ক ও উত্তেজনার সৃস্টি করে।তারা আমাদের পায়ে পারা দিয়ে ঝগরা ফ্যাসাদ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা চালাচ্ছে।

দখলদার গ্রুপটি সাধারণ মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি পিটিশন দাখিল করেছে। ওই পিটিশনে যে মানচিত্র দেয়া হয়েছে সেখানকার ৭৩০ নং দাগের রাস্তাটি কৌশলে বাদ দিয়ে প্রশাসনকে চরম ভাবে বিভ্রান্তি করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু মিডিয়াতে ঘটনার ভিডিও ও চিত্র একপেশ ভাবে প্রচার হওয়ায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি।

তাই প্রশাসন ও সাংবাদিক বন্ধুর নিকট আমাদের প্রত্যাশা ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করে যেন বাস্তব ঘটনাটি প্রচার এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর