পায়রাবন্দ ইউপি উদ্যোক্তার অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে ডিসির কাছে আবেদন

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন নাগরিক সমাজ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রেদওয়ানুর রহমান সরকারি নিয়ম না মেনে অত্র ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের নিকট থেকে সরকারের নির্ধারিত ফি এর চেয়ে অতিরিক্ত ফি নেয়া, সাধারণ জনগণের সঙ্গে দূর-ব্যবহার করাসহ দীর্ঘদিন যাবৎ ভুক্তভোগীকে হয়রানি ও পেরেশানি করে আসছে। এ বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিকার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন নাগরিক সমাজ নামের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।

৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন নাগরিক সমাজের সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ শাহজালাল জানান, বিগত চেয়ারম্যানের সময় নিয়োগ পাওয়া পায়রাবন্দ ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা রেদওয়ানুর রহমানের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দূর-ব্যবহারের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে পায়রাবন্দ ইউনিয়নবাসী।প্রতিনিয়ত ডিজিটাল সেন্টারে গি বারবার চেয়ারম্যানকে তার অপসারণের দাবি জানালেও কোন এক অজানা কারণে নীরব রয়েছেন পায়রাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান।বাধ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। আমরা সরেজমিনে তদন্তপূর্বক উদ্যোক্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রেদওয়ানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান জানান, আমার কাছে পায়রাবন্দ ইউনিয়ন নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিলো।আমি সেটি গ্রহণ করিনি। বলেছি যে ব্যক্তি হয়রানির শিকার হয়েছে তাকে এককভাবে অভিযোগ দিতে হবে।আর রেদওয়ানুর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যে।এর কোন প্রমাণ নেই।

উল্লেখ্য, দশ টাকা কেজি চালের অনলাইন ডাটাবেইজ করার সময় সরকারি বিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে কার্ডধারীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে পায়রাবন্দ ইউপি ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা রেদওয়ানুর রহমান। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের প্রাক্কালে দৈনিক মানবকন্ঠের মিঠাপুকুর প্রতিনিধি খন্দকার রাকিবুল ইসলামকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে এ উদ্যোক্তা। পরবর্তীতে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে শোকজ করে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান। তার পরেও এ উদ্যোক্তার যেনো অনিয়মের শেষ নেই।

পলাশ/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর