শীতকালীন সবজি ফুলকপির ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

চলতি মৌসুমে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ফুলকপির ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে ফুলকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো বীজ বপনের পাশাপাশি সুষম সার ব্যবহারের কারণে এবার ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার পাইকারি বাজারগুলোতে প্রতি মণ ফুলকপি ১হাজার থেকে ১২শ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে প্রতি ৫ কেজি কেনা পড়ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে এক কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও ফুলকপিসহ নানান রকমারি শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে। এই এলাকার উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাষিরা তাদের উৎপাদিত এই সবজি এখন বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুমে এই সবজির চাহিদা বেশি হওয়াতে বাজার দরও ভালো পাচ্ছে চাষিরা।

স্থানীয় কৃষক কাওছার আলী, আজমাউল ও নাছরুল মিয়াসহ অনেকেই জানান, শীতকালীন সবজি ফুলকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় তারা এই সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এ বছর সারের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের বাড়তি খরচ হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। চাষবাদ ও বাজারজাতে কষ্ট হলেও ভালো ফলন আর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় তারা অনেকটাই খুশি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার উৎপাদিত ফুলকপি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সরাসরি ক্ষেত অথবা পাইকারি বাজার থেকে পিচ হিসেবে কিনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ফুলকপি চাষে অন্যান্য ফসলের খরচের তুলনায় লাভ বেশি হয় বলে দাবি চাষীদের। তবে সার ও কীটনাশকের দাম একটু বেশি হওয়ায় কপি চাষে বর্তমানে ১ একর জমিতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে বাজার ভালো হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশাই করছেন কৃষকরা।

মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন বার্তাবাজারকে জানান, চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও প্রায় রকমারি শীতকালীন সবজির চাষ হয়েছে। আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

পলাশ/বার্তাবাজার/এইচ এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর