জাবিতে ‘মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর উদ্বোধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ‘মুক্তিসংগ্রাম সাংস্কৃতিক উৎসব’ এর উদ্বোধন হলো। ‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’ শিরোনামে সোমবার (২৫ মার্চ) জাবি ক্যাম্পাসের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।

ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, বীর প্রতীক।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, উৎসবের আহবায়ক ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক বশির আহমেদ এবং ছাত্রলীগ জাবি শাখার সভাপতি জুয়েল রানা।

প্রধান অতিথির ভাষণে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী বলেন, যারা পাকিস্তানী শাসনামল দেখেনি, তারা অনুধাবন করতে পারবে না যে, পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকেরা কত নৃশংস এবং বর্বর ছিলো। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষজনকে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠি মানুষের মর্যাদা দেয়নি। তারা বাঙালির মাতৃভাষা বাংলা ভাষার ওপর প্রথম আঘাত করে।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, কতিপয় বাঙালি সে সময়ে উর্দু ভাষায় কথা বলে নিজেদেরকে সম্ভ্রান্ত বলে মনে করতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জাতীয়তাবোধের চেতনা জাগিয়ে তুলেছেন। তিনি মুক্তিকামী বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। সেই আগুনে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির পরাজয় হয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতি মুক্তি লাভের জন্য অনেক রক্ত দিয়েছে। এ রক্ত দেয়ার মধ্যে গৌরব রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫-এ জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর বাঙালির স্বাধীনতার গল্পকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা বেশিদিন সফল হতে পারেনি। বাঙালি স্বাধীনতা এবং মুক্তি সংগ্রামের চেতনায় পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর