ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা, তরুণ প্রজন্মকে দিকনির্দেশনা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

দেশের আলোচিত ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ তরুণ প্রজন্মকে চলমান বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা চলছে, তা নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন এই ইসলামিক স্কলার। সোমবার (২১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘আবেগ, উচ্ছ্বাস ও উদ্যম মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। আবেগ দিয়ে মানুষ অনেক কিছু অর্জন করতে পারে, আবার অপাত্রে আবেগ ঢেলে মানুষ নিজের ধ্বংসও ডেকে আনতে পারে। ‘খেলা’ মানসিক রিফ্রেশমেন্ট ও শরীর চর্চার একটি উপকরণ মাত্র। শরীয়ার সীমানায় থেকেও তা থেকে উপকৃত হবেন একজন ঈমানদার। কিন্তু আখিরাত বিশ্বাসী মানুষ, যার প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যার প্রতিটি কর্মকাণ্ড লিপিবদ্ধ হচ্ছে হিসাবের খাতায়, ‘খেলা’ র মতো তুচ্ছ বিষয়ে মেতে থাকা তাকে মানায় না।’

বিশ্বকাপের এই আয়োজনকে বৃহৎ বাণিজ্যের বিশাল আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খেলার নামে চলা এসব আসর যে বৃহৎ বাণিজ্যের বিশাল আয়োজন সে কথা কে না জানে? অথচ, নিজের মূল্যবান আবেগকে আমরা সে বাণিজ্যের কাঁচামালে পরিণত করি। কত সস্তা আমাদের আবেগ! সফল মুমিন তো তিনি, যিনি এ জাতীয় অনর্থক বিষয় থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। তিরমিজীর প্রসিদ্ধ হাদিসের ভাষ্য—একজন ভালো মুসলিমের অন্যতম গুণ হলো, তিনি এমন কাজ পরিহার করে চলবেন, যে কাজ তার দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ সাধন করে না।’

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘রাসুল (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন, কিয়ামতের আগে চোখ ধাঁধানো ফিতনার প্লাবনে অনেক নামধারী মুসলমানের ঈমান ভেসে যাবে। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও যারা ঈমান বা ঈমানি চেতনাহীন হয়ে যাবে, তারা কতই না দুর্ভাগা! মহান আল্লাহ আমাদের ঈমান ও আমলের ওপর অটল রাখুন, ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।’

উল্লেখ্য, শায়খ আহমাদুল্লাহর জন্ম ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮১ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার বশিকপুরে। বাবার নাম মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন, মায়ের নাম মোসাম্মাত দেলোয়ারা বেগম। তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব। বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও খতিব। ইসলামের জন্য তিনি নানামুখী কাজ করেন। লেখালেখি, গবেষণা ও সভা-সেমিনারে লেকচারসহ বিভিন্ন দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উন্মুক্ত ইসলামিক প্রোগ্রাম ও প্রশ্নোত্তরমূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং টিভি অনুষ্ঠানে সময় দেওয়াসহ বহুমুখী সেবামূলক কাজে সপ্রতিভ গুণী ও স্বনামধন্য এই আলেমে দীন। দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ ছড়িয়ে দিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’।

বার্তাবাজার/জে আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর