মসজিদের নির্মাণ কাজ স্থগিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হল ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হল সংলগ্ন মসজিদের পুননির্মাণ কাজ দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ স্থগিত রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছে সংশ্লিষ্ট হলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীরা।

সোমবার ( ২১ নভেম্বর) মসজিদ সংলগ্ন রাস্তায় এ মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।পুরাতন মসজিদ ভেঙে পুননির্মাণের কাজ চলতি বছরের এপ্রিলে শুরু হলেও, বাস্তবে মসজিদের কাজ সেই নকশা পর্যন্তই লক্ষণীয়। প্রথমে নকশা জটিলতা, শেষে অর্থাভাবসহ অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে কতৃপক্ষ। এর প্রতিবাদেই পূর্ণাঙ্গ মসজিদের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মিরাজুল হোসেইন বলেন, “গত ছয়-সাত মাস একটা মসজিদ নির্মাণ মতো প্রয়োজনীয় কাজ কিভাবে পড়ে থাকে এটা আসলেই বোধগম্য নয়, কাজের অগ্রগতি দ্রুত না হলে আমাদের বাধ্য হয়েই দাবির সুর বদলাতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা যায়, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১১টি আবাসিক হলে প্রায় ১২ কোটি টাকার সংস্কার কাজের বরাদ্দ দেয়া হয়। সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্য দুই হলের সংস্কার বাবদ প্রাপ্ত অর্থ থেকে ১ কোটি এবং কামালউদ্দিন হল থেকে ২০ লাখ সহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নথিতে নতুন মসজিদ নির্মাণের উল্লেখ নেই বা মসজিদের কাজের জন্য আলাদা কোন বরাদ্দ নেই।’

শহীদ সালাম-বরকত হলের শিক্ষার্থী রসায়ন শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রনি পূর্ণাঙ্গ মসজিদের দাবি জানিয়ে বলেন, “গত এপ্রিল মাসে কাজ শুরু হবার কথা থাকলেও কোন‌ কাজ এখনও আগাইনি, আমরা ভিসি তথা দায়িত্ব প্রাপ্ত সকলকে অনুরোধ করলেও কেউ ভালভাবে সাড়া দেয়নি। এই টিনশেড ভাঙা মসজিদেই দুই আড়াইশ শিক্ষার্থীরা নামাজ পড়ে, এখন শীতে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হচ্ছে, আর অনেকেই চাইলেও জায়গা পায় না।‌ তাই আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর যথাযোগ্য পদক্ষেপ না‌ দেখা গেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিব।”

শিক্ষার্থী মোঃ মুসা ভূঁইয়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন ; দুই হল এবং বটতলার মতো জনাকীর্ণ স্থানে নকশা শুধু মাত্র পাঁচশ জনের জন্য করেছিল তা খুবই কম। পর্যাপ্ততার দাবির প্রেক্ষিতে পুনঃ নকশা করা হলেও কাজ অঙ্কুরেই থেমে যায়।

মসজিদে জুমার নামাজে দুই হলের কয়েকশ শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ইভিনিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা এবং দর্শনার্থীরা নামাজ পড়তে আসে। কিন্তু বর্তমানে ছাউনি দেয়া অস্থায়ী টিনশেড এ জায়গা না পাওয়ায় প্রায় তিন-চার শতাধিক মুসল্লী বাইরের বাগানে নামাজ আদায় করছে। অনেকে বাইরেও নামাজের জায়গা না পেয়ে ফিরে যান। এদিকে অস্থায়ী টিনশেড মসজিদের তিনদিকে খোলা থাকায় মশা এবং শীতে নামাজ আদায় করতেও তীব্র সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে মুসল্লিরা।

রবিউল/বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর