ছাত্রকে বলাৎকার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় কিশোর মেহেদীকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, হাফেজিয়া মাদরাসার ৯ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকার করে শিক্ষক আবদুর রশীদ পলাতক থাকায় সুপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পৃথক দুই ঘটনায় অভিভাবকরা বুধবার রাত (১৬ নভেম্বর) থানায় মামলা করেছেন। আহত শিশু ও অভিযুক্ত কিশোরকে সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) সকালে শিশুকে সদর হাসপাতাল ও অভিযুক্ত কিশোরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি শিপন বড়ুয়া জানান।
তবে পুলিশ হেফাজতে থাকা কিশোর মেহেদি বলছে, শিশুর অভিভাবক ঘটনাটি সাজিয়েছেন। মাদরাসা সুপার জানান, তার মাদরাসার পলাতক শিক্ষককে না পেয়ে তাকে আটক করেন পুলিশ।
শিশুর ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া গ্রামের পাশের বাড়ীতে। মাদরাসা ছাত্রের ঘটনা ১২ সেপ্টেম্বর ও ৯ নভেম্বর রাতে পৌরসভার লেংড়াবাজার এলাকার তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদরাসায়।
অভিযুক্ত বখাটে কিশোর মেহেদী হাসান রাখালিয়া গ্রামের অটোচালক জহিরের বখাটে ছেলে। অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক নোয়াখালির বেগমগঞ্জ এখলাশপুর গ্রামের সোবহানের ছেলে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া পৃথক দুটি ঘটনা নিশ্চিত করেন।
শিশুর মা ও নানি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিশু মাদরাসা থেকে নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে মুখ চেপে কৌশলে নির্জন লাকড়ির ঘরে নিয়ে হাত মুখ বেধে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী ওই কিশোর। এ সময় আহত শিশুটি কান্না করে তার নানিকে ঘটনাটি জানায়। পরে মেহেদিকে আটক করতে গেলে ওই সময় সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার কক্ষেই ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে (যৌন নিপীড়ন) শিক্ষক আবদুর রশিদ। এঘটনায় ১৩ সেপ্টেম্বর গোপনে মাদরাসা কমিটি ছাত্রের অভিভাবকের সাথে বৈঠকে করে জরিমানা করান। কিন্তু তা ভূলে গিয়ে ওই শিক্ষক আবার ৯ নভেম্বর রাতে ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে পালিয়ে যায়। তাকে খুঁজে না পেয়ে মাদরাসার সুপারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ওসি শিপন বড়ুয়া জানান, বুধবার(১৬ নভেম্বর) রাতে শিশুটির মা বাদি হয়ে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করলে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিনে শহরের লেংড়াবাজারে মাদরাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শিক্ষক পলাতক থাকায় সুপার ওজায়ের হোসেনকে জিজ্ঞাবাদের জন্যে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে শিশুকে সদর হাসপাতাল ও অভিযুক্ত কিশোরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
গণি/বার্তাবাজার/এইচ এম