৭১টি বিদ্যালয়ের বরাদ্দ প্রায় দুই কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ!

মোংলায় ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ হওয়া প্রায় দুই কোটি টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক, প্রকৌশলী ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে।

শিক্ষা কর্মকর্তা,প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে দীর্ঘদিন লুটপাটে ব্যস্ত থাকায় ভেঙে পড়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। এমন পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যত চিন্তা করে সরকার ও দুদকের নজরদারী চান স্থানীয়রা।

গত অর্থবছরে মোংলা উপজেলার ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংস্কার, ক্রীড়া সামগ্রী কেনার জন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ২ কোটি টাকারও বেশি।

সংস্কার কাজ শেষ দেখিয়ে বরাদ্দের ওইসব অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে গেল জুন মাসে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা, অভিবাবক ও স্কুল কমিটির সভাপতিরা বলছেন, মুলত সরকারি বরাদ্দের টাকা নামমাত্র কিছু খরচ করে বাকি টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে সদ্য বদলি হওয়া টিও সুমন্ত কুমার পোদ্দার,এটিও পুস্পজিৎ,সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।

কয়েকটি স্কুলে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বলা হয়েছে,নতুন করে কোনো কাজ করা হয়নি ভবনগুলোতে। অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক বলতে পারছেন না তারা বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে কি কাজ করিয়েছেন! কাজের কথা বলতে না পারলেও জানালেন তাদের কাছে রয়েছে কাজ শেষ করার প্রত্যয়ন পত্র।

যে প্রত্যয়ন দিয়ে সরকারি বরাদ্দ উত্তোলন করা হয়েছে, প্রত্যায়ন প্রদানকারী খোদ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন। তিনি জানান তিনি কোনো প্রত্যয়ন পত্র দেননি। তার দাবি যেটি দেখানো হচ্ছে তা নকল। টাকা আত্বসাৎ এ অভিযুক্ত টিও (শিক্ষা কর্মকর্তা) সুমন্ত কুমার কয়েক দিন আগে বদলি হয়েছে দাকোব উপজেলায়।

তাই এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার জানালেন,নিজের অসহায়ত্বের কথা। দীর্ঘদিন এক কর্মস্থলে থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে পারছেন না তারা। তাই তিনি এটিও পুস্পজিৎ-এর বদলির জন্য বার বার লিখিত দিয়েও কোনো ফল পাননি বলে জানান।

কোমলমতি শিশুদের গড়ে ওঠার প্রথমস্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এ বিদ্যালয়গুলোকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে মোংলাবাসী।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর