কলাপাড়ায় ওয়ার্ল্ড কনসার্ন’র উদ্যোগে হতদরিদ্রদের মাঝে অর্থ প্রদান
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেসরকারী আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে “পরিবর্তন” ও “ইপজিয়া” নামক দুটি প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(৯ নভেম্বর) সকালে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব শংকর চন্দ্র বৈদ্য এর সভাপতিত্বে উপজেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে প্রকল্প দুটির অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শাহীনা পারভীন সীমা চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা পরিষদ, কলাপাড়া।
বিশেষ অতিথি হিসাবে মো: মিজানুর রহমান-অসি (তদন্ত) কলাপাড়া থানা, মো: হুমায়ুন কবীর-পিআইও, মো: আসাদুজ্জামান খাঁন-সহকারী পরিচালক সিপিপি, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ, এনজিও প্রতিনীধিসহ প্রেস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওয়ার্ল্ড কনসার্ন সংস্থার পক্ষে প্রকল্প দুটির বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার সিলভেষ্টার মাইকেল মধু ও ফ্রান্সিস তমাল হালদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেমস রাজীব (বিশ্বাস প্রকল্প কর্মকর্তা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ)।
অফিস সুএে জানা যায়, এ সংস্থা কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ন ইউনিয়নে দির্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বালিয়াতলী, মহিপুর, লতাচাপলী এবং নীলগঞ্জ ইউনিয়নে দাতা সংস্থা টিয়ারফান্ড-ইউকে, সিডরফান্ড-হংকং ও ইন্টারএক্ট-সুইডেন এর আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্প দুটি শুরু হয়েছে।
উপজেলার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির আবহাওয়া ও জলবায়ু পরির্বতনের সাথে খাপ খাইয়ে দুর্যোগ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি, জেন্ডার বৈষম্য দুরিকরন, শিশু অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতসহ কৃষি এবং জীবন জীবিকার মান উন্নয়নের মাধ্যমে দুর্যোগ সহনশীল জনগোষ্ঠি গড়ে তুলতে প্রকল্প দুটি নতুন ভাবে তিন বছরের জন্য কাজ করবে।
অনুষ্ঠান শেষে সংস্থার “ইপজিয়া” প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হত দরিদ্র ৫ জন নারীদের মাঝে উপস্থিত অতিথিদের মাধ্যমে বিকল্প আয়ের লক্ষে নার্সারী করার জন্য প্রত্যেককে নগদ দশ হাজার টাকা করে মোট পঞ্চাশ হাজার টাকা বিতরন করা হয়।
প্রকল্প কর্মকর্তা সীমা ভেরোনিকা রোজারিও জানান, জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, পরিবার পর্যায়ে বিকল্প আয় বৃদ্ধি সহ নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষে হত দরিদ্র নারীদের মাঝে এ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মহিবুল্লাহ/বার্তাবাজার/এইচ এম