ভয়ংকর রূপ পাকিস্তানের রাজনীতি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বৃহস্পতিবার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় তার একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত ইমরান খানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দলটির আরও দুই বড় নেতা। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, আগাম নির্বাচনের দাবিতে হওয়া লংমার্চ ওয়াজিরাবাদে গেলে সেখানে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইমরান খানকে হামলার মিশনে দুইজন জড়িত ছিল বলে ডনের খবরে বলা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানায় ইতোমধ্যে অভিযুক্ত এক হামলাকারী গুলিতে নিহত হয়েছে, আরেকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া হামলাকারী জানিয়েছেন তিনি ইমরান খানকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।

সাধারণ বোধগম্যের চেয়েও পাকিস্তানের সংকট আরো গভীরে প্রোথিত। প্রচলিত প্রথাগতভাবে এ সংকটের সহজ কোনো সমাধান নেই। বহু বছর ধরে জিইয়ে রাখা সংকট এখন বিস্ফোরণের পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজনীতিবিদরা যদি এ সংকটের গভীরতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয় এবং যথাযথ পদক্ষেপ না নিতে পারে; তাহলে কেবল সামাজিক নৈরাজ্যই বৃদ্ধি পাবে না, পাকিস্তানের নিরাপত্তা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আরো দুর্বল ও বিপজ্জনক পর্যায়ে উপনীত হবে।

প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তান যত না আদর্শিক রাষ্ট্র তার চেয়ে অনেক বেশি নিরাপত্তা সংকটে থাকা একটি দেশ। বলা যায় স্বাধীনতার পর থেকেই এ দেশটি ইসরায়েলের মত নিরাপত্তা উৎকন্ঠা নিয়ে বাস করে আসছে। আর এই নিরাপত্তা সংকটের কারণেই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ক্রমাগত শক্তিশালী করতে হচ্ছে। আর এই সেনাবাহিনীকে ইতিমধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে তিনট প্রচলিত যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত ‘ ননস্টেট’ নানা বাহিনীর সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।

মূলত পাকিস্তানে বর্তমানে যা ঘটছে, তা হচ্ছে অতীতের ব্যাপক দূর্নীতি, বেপরোয়া স্বজনপ্রীতি, মুদ্রা পাচার,আইনের শাসনের অভাব ও সামন্ততান্ত্রিক কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে এক নব জাগরণ। যাকে বলা যায় সামন্তবাদী কয়েমী স্বার্থের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জেগে উঠা। এর একদিকে ইমরান খানের নেতৃত্বে হতাশাগ্রস্ত তরুন সমাজের বিদ্রোহী চেতনা অন্যদিকে পশ্চিমা মননে ও মদদে কায়েমী সামন্তবাদী স্বার্থের ধারক-বাহক প্রবল শক্তিশালী শরীফ-জারদারীর ১২ দলীয় জোট সরকার। বিগত ৫০ বছরে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ১৮ কোটি বৃদ্ধি পেয়ে ২২ কোটিতে পৌঁছেছে।

ক্রমবর্মান এই জনসংখ্যার বিরাট অংশ হচ্ছে তরুন সমাজ। তারা জন্মের পর থেকেই দেখে আসছে কায়েমী স্বার্থবাদী রাজনৈতিক মহলের বেপরোয়া লুন্ঠন। তারা দেখছে পাকিস্তানের জনগন আরো গরীব থেকে আরো গরীব হচ্ছে।

অথচ রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সামন্ত পরভু এবং তাদের পোষ্যরা ক্রমাগত ধনী থেকে আরো ধনী হচ্ছে। বাড়ছে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান। সামন্তবাদী প্রথার কারনে নারীরা পিছিয়ে পড়ছে। শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সমাজের বিরাট অংশ। তারা দেখছে কিভাবে রাজনৈতিক লুটেরারা রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। তারা দেখছে, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। নেই কোনো আশার আলো।

এ রকম এক হতাশজনক পরিস্থিতি থেকে তারা মুক্তি পেতে চায়, চায় একটা পরিবর্তন। আর ইমরান খান সেই কাঙ্খিত পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন। জনগণ তা বিশ্বাস করেছে। কারণ তিনি বিশ্বাসী, সততার সঙ্গে সৎ এবং প্রচন্ড সাহসী। তাই তো তৃতীয় বিশ্বের পদচ্যুত কোনো সরকারের ক্ষেত্রে যা কখনো ঘটেনি তাই ঘটলো ইমরান খানের বেলায়। ক্ষমতায় থাকতে তিনি ছিলেন বিরোধী দলের কঠিন টার্গেট। তারা বলতো ইমরান ব্যর্থ। তার বলতো ইমরানর জনপ্রিয়তা তলানিতে।

এখন তারা দেখছে ক্ষমতা হারা ইমরান আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তায় ভাসছে। ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থা থেকে তিনি আরো বেশি শক্তিশালী। জনগণ তাঁর কথায় উঠছে আর বসছে। তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতিত এ এক বিরল ঘটনা। সাধরণতঃ ক্ষমতা হারানোর পর শাসকরা পালায়। ইমরান সৃষ্টি করলেন ব্যতিক্রম এক ইতিহাস, যা ফিউডাল সমাজের অধিপতিদের ভিৎ কাঁপিয়ে দিয়েছে।

সম্ভাবত পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর এই প্রথম সামাজিক সংকট কেন্দ্রিক তীব্র রাজনৈতিক সংকটে পতিত হয়েছে দেশটি। যদিও দেশটির রাজনীতিকরা পাকিস্তানকে একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে জাহির ভালোবাসে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয় শক্তিশালী সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থা এখানো সেখান বিরাজমান যা অধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিকাশের পথে সবচেয় বড় প্রতিবন্ধক। কারণ গণতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্র এক সঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান সৃষ্টির গোড়া থেকেই দেশটিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সামন্তবাদ প্রচলিত আছে, যা বৃটিশ আমল থেকে চলে আসছে। মোহাম্মদ আলী জিন্না নিজে একজন প্রখ্যাত আইনজীবী ছিলেন এবং তাঁর ছিল ব্যসায়িক পরিবারের ঐতিহ্য।

কিন্তু তাঁর মুসলিম লীগের অধিকাংশ নেতা ছিলেন জমিদার, জাইগীরদার শ্রেনীর। স্বাধীনতার ৭৫ বছরও সেই ধারা অব্যাহত আছে। আর এই সামন্তবাদী গুরুরাই রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখানে উল্লেখ করতে হয় যে, সামন্তবাদ কোনো ব্যক্তি বিশেষ নয়, এটা মাইন্ডসেট বা মানসিকতা। যে কোনো পেশার মানুষ এই মানসিকতার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।

তিনি শিক্ষক, আইনজীবী, সংবাদিক, বিচারক, সামরিক কর্মকর্তা, আমলা যে পেশারই লোক হোন কেন। পাকিস্তানে বিগত ৭৫ বছর ধরে এই সামন্ত প্রভুরাই কখনো সমরিক পোষাক পরে কখনো গনতন্ত্রের লেবাস পরে শাসন করে আসছে। উপনিবেশিক মানসিকতায় পুষ্ট এই সামন্ত প্রভুদের কর্তৃত্ব বজায় রাখার করনেই পাকিস্তানে গণতন্ত্র কখনোই শক্ত ভিত্তি লাভ করতে পারনি।

আর এ করণেই পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে। সে সময় সমাজতন্ত্রের কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী লারকানার সামন্ত প্রভু জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং তার এক শ্রেনীর কিছু আমলা ও কয়েক জন জেনারেল মিলে যে ষড়যন্ত্র তৈরী করেছিল, তার মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের সামন্তবাদী কর্তৃত্ব বহাল রাখা। তারই অবধারিত পরিনতি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

পাকিস্তানে এক জরিপের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, পাঞ্জাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৮০ শতাংশ এবং সিন্ধুতে ৯০ শতাংশ জনপ্রতিনিধি ফিউডাল লর্ড বা সামন্ত প্রভু। সামাজিক পরিচয়ে এরা কেউ রাজনীতিক, উকিল-ব্যারিষ্টার, কেউ বিচারক, আমলা, জেনারেল ইত্যাদি। কিন্তু শ্রেনীগত পরিচয়ে এরা ফিউডাল লর্ড। সাবেক প্রধান মন্ত্রী নওয়াজ শরীফরা শিল্পপতি হিসাবে পরিচিত হলেও তাঁল দল মুসলিম লীগের সিংহ ভাগ নেতা ফিউডাল লর্ড। পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে (পিপিপি) এ সংখ্যা আরো বেশী।

এই দুই পার্টির মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ থাকলেও কমন শত্রুর বিরুদ্ধে তারা এক জোট। যেমন তারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে ১৩ দলী জোটে ঐকবদ্ধ হয়েছে।অন্যদিকে ইমরান খান একা লড়ছেন।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ও তৎপরবর্তী ঘটনা প্রবাহ পর্যালেচনা করলে বুঝা যায় যে, গোটা ঘটনা পরম্পরা একটা যুত বদ্ধ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দৃশ্যতঃ একতরফাভাবে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের কাজটি সম্পন্ন করিয়েছেন। তিনি সাংবিধানিক দিকটা দেখেছেন; কিন্তু এর পরবর্তী পরিণতি কতটা ঘোলাটে ও বিপর্যয়কর হতে পারে তা তিনি বিবেচনায় নেননি। তিনি যদি প্রধান বিচারপতির বিবেক ও বুদ্ধী খাটিয়ে ফ্রেশ নির্বাচন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতেন, কিম্বা তিনি নতুন সরকারকে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচনের জন্য সংক্ষিপ্ত সময় বেধে দিতেন; তাহলে বর্তমান সংকট দেখা দিত না।

পাকিস্তানের আদালতে ‘ ডকট্রিন অব নেসেসিটির’ ঘটনা অনকবার আমরা দেখেছি। কিন্তু তা না হওয়ায় এটা প্রতিয়মান হচ্ছে যে, সংবিধান বা গণতন্ত্র নয়; বরং এটা ছিল শরীফ- জারদারী রেজিমকে সকল দূর্নীতির মামলা থেকে মুক্ত করা এবং আগামী নির্বাচনে তাদের বিজয়ী করার জন্য সকল পথ সুগম করা। যাকে বলা যায় সামন্তবাদী কায়েমী স্বার্থের সুসংহত মেলবন্ধন।

এখানে উল্লেখ করতে হয় যে, পাকিস্তানে যা ঘটেছে বা ঘটছে তা দেশটির ভংগুর গণতন্ত্রকে আরো ভংগুর করে ফেলবে। কিম্বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সংবিধান বহির্ভূত শক্তির হস্তক্ষেপ ঘটলেও অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না।

শেষপর্যন্ত সেটা ঘটলে তা হবে তাদের জন্য ইমরান খানের আবার ক্ষমতায় আসার চাইতে অনেক ভালো। কারণ তারা যদি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে চাইতো তাহলে তারা ইমরান খানকে মেয়াদ পূর্ন করতে দিত। আর তাদের ভাষায় ইমরান খানের ব্যর্থতার দোহাই দিয়েআবার তারা নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করতে পারতো।

কিন্তু সে পথে তারা হাটেনি। বরং তারা সংকটকে আরো তীব্র করেছে। আপততঃ এই সংকট থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে, সংসদ ভেঙে দিয়ে অবিলম্বে নির্বাচন ঘোষণা করা। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকেই ভন্ডামিপূর্ণ নিরপেক্ষতা লেবাস খুলে দায়িত্ব নিতে হবে। তা-না হলে তাদেরই দীর্ঘমেয়াদী খেসারত দিতে হবেউ

কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলরা সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে প্রচলিত পথেই হাটছে। এই মানসিকতা কোন পর্যায়ে থাকলে নতুন প্রধান মন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ২১টা খুনের মামলায় জড়িত রানা সানাউল্লাহকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী করতে পারেন! শুধু তাই নয়, শাহাবাজ শরীফ নিজে প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন, ছেলে হামজা শরীফকে বানিয়েছেন পাঞ্জাবের চীফ মিনিষ্টার। আরেকজন টেন পারসেন্ট খ্যাত সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তিনি ছেলে বিলওয়াল ভুট্টোকে বানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী। স্বজনপ্রীতির এ এক নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

পাকিস্তানের সামন্ততান্ত্রিক রাজনৈতিক সমাজ এমনই। এ সব ফিউডাল লর্ডদের প্রায় সবারই ব্যক্তিগত স্বশস্ত্র বডি গার্ড আছে। তারা চলেন বেপরোয়াভাবে। আইনের চোখ তাদের দিকে কমই তকায়।যেমন শাহাবাজ শরীফ প্রধান মন্ত্রী হওয়ার পরপরই নুন লীগের একজন বড় নেতার বডি গার্ডরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন সার্ভিং মেজর র‍্যাংকের অফিসারকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতলে ভর্তি কর হয়। শধু তাই নয় গত ২৫ মে ইমরান খানের লংমার্চকালে এই ফিউডাল লর্ডের পেটোয়া বাহিনী পুলিশের পোশাক পরে পিটিআই কর্মিদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে।

পাকিস্তানের মানুষ বহু বছর ধরে এগুলো দেখে আসছিল। প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। ইমরান খান সেই প্রতিবাদ করার সাহস দিয়েছেন। ইমরান খান এই সামন্তবাদী সমাজের নিপীড়ন মূলক শাসন ও শোষনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানে রাসুল পাক (সাঃ) প্রতিষ্ঠিত মদিনার কল্যান রাষ্ট্র কায়েমের যে কথা বলছেন তা গোটা সমাজের ভিৎ নাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি যে আজদীর কথা বলছেন, তা কেবল বিদেশী শক্তির গোলামীর জিঞ্জির ভাঙ্গা নয়, তা দেশীয় সামন্তবাদী শোষনের যাতাকল থেকে সাধরন মানুষকে মুক্ত করার আহবান। পাকিস্তানের তরুন সমাজ ইমরান খানের এই আহবানে বিপ্লবী চেতনা নিয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সামন্তবাদী রাষ্ট্র কাঠামোকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি পাকিস্তানের পিছিয়ে পড়া বৃহৎ অংশকে জাগিয়ে তুলেছেন প্রচন্ড শক্তিতে। দেখাচ্ছেন অনাগত দিনের সুনীল স্বপ্ন।

তাই ভীত সন্ত্রস্ত ফিউডাল সমাজের মুখপাত্র মূল ধারার মিডিয়াগুলো নানা শব্দগুচ্ছ দিয়ে ইমরান খানকে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। কখনো তাকে নৈরাজ্যবাদী বলা হচ্ছে। কখনো তাকে অভিহিত করা হচ্ছে লোকরঞ্জনবাদী হিসাবে। অথচ ইমরান খানই একমাত্র পাকিস্তানি নেতা যার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি রয়েছে।

বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে তাঁর রয়েছ লাখ লাখ সমর্থক আছে যা অন্য কোন পাকিস্তানি নেতার নেই। যদিও তাঁর জীবন এখন ঝুকিপূর্ণ। আর সত্যি যদি তিনি হত্যার শিকার হন কিম্বা কারারুদ্ধ বা অন্য কোনোভাবে নিগৃহীত হন তাহলেও পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনি চির অম্লান হয়ে থাকবেন। তাঁর ছায়া প্রতিনিয়ত পাকিস্তানের ফিউডাল শাসকদের খুঁজতে থাকবে হ্যামলেটের মত।

বার্তাবাজার/এম.এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর