বশেফমুবিপ্রবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, ক্লাস-পরিক্ষা স্থগিত ও স্মারকলিপি প্রদান

জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) একাডেমিক এবং প্রশাসনিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও ১০দফা দাবিতে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন তারা।

বুধবার (০২নভেম্বর) সকাল থেকেই ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা এ কর্মসুচি পালন করেন। পরে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম অর্থ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ১২তম সিন্ডিকেট সভায় বিকৃতভাবে উপস্থাপন এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ ও সমাধানের লক্ষ্যে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মো.মামুন সরকার বলেন, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাটাই আমাদের মুল অভিযোগ। শিক্ষকদের প্রমোশনটা সময় মতো কতৃপক্ষ দেন না। সার্কুলার ঠিকমত দেন না। বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পিছনে শিক্ষকদের পরিশ্রমের সঠিক পারিশ্রমিক যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। অন্য বিশ্বদ্যালয়ের সাথে পারিশ্রমিকের সামতাসহ ১০দফা দাবি আদায়ের লক্ষে এ কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। তাদের দাবি আদায় হলেই কর্মবিরতি থেকে সরে যাবেন বলে জানান তিনি।

ছবি- বার্তা বাজার

দাবিগুলো হলো, অর্থ কমিটির সভার শিক্ষক সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তকে রেজুলেশনে বিকৃতভাবে লিপিবন্ধ করণ ও ১২তম সিন্ডিকেট সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষকবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

একাডেমিক ভবনে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা ও হলের ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি প্রদান করতে হবে। পরিবহন পুলে শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পৃথক গাড়ী এবং এ্যাম্বুলেন্স বরাদ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মূল ও রেফারেন্স বইয়ের একাধিক মাল্টার কপিসহ উন্নতমানের দেশী-বিদেশী বই, জার্নাল সরবরাহ করতে হবে এবং লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনায় আধুনিকীকরণ ও অটোমেসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিকীকরণ করে পুনঃনির্মাণ করতে হবে।

আর্ট ক্লাসরুম ও আধুনিক ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতার স্বার্থে সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

গবেষণাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে কোন শিক্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রিত হলে তার রেজিস্ট্রেশন, যাতায়াতসহ সামগ্রিক ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করাসহ ১০দফা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসুচি পালন করছে শিক্ষকরা।

একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা চলছিলো। বিকালে এসে জানতে পারি যে পরিক্ষা হবে না। এ পরীক্ষা গত মাসে হওয়ার কথা ছিল। আর একটা মাস চলে গেল। এভাবে চলতে থাকলে ৭বছরেও গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারবো না।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা সকাল থেকে বসেছিলাম ক্লাস করার জন্য ক্লাস হলো না, তাই চলে যাচ্ছি। কবে থেকে আবার ক্লাস শুরু হবে এটা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিস আহমেদ বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ আছি। আমি শনি-রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এসব দেখবো।

ইমরান/বার্তাবাজার/এইচ এম

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর