পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে ‘বিশেষ টুপি’

শ্রেণিকক্ষে বসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সবার মাথা ‘টুপি’তে ঢাকা। সেই টুপি একেকজনের মাথায় একেক ধরনের। কারও টুপি পুরু শক্ত কাগজের, কারও ডিমের বাক্সের, কারও বা ফেলনা জিনিসের তৈরি। এসব টুপির নাম ‘নকলবিরোধী টুপি’।

পরীক্ষার্থীদের এমন অভিনব টুপি পরে পরীক্ষা দেওয়ার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিচিত্র সব টুপি পরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার এ ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে।

শ্রেণিকক্ষে ‘সততা ও একাগ্রতা’ বজায় রাখার একটি মজার উপায় খুঁজছিলেন এই পরীক্ষার্থীদের একজন শিক্ষক। আর সেটিরই বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার হলে টুপি পরে আসার নির্দেশ দেওয়ার মধ্য দিয়ে। ওই শিক্ষকের নাম ম্যারি জয় মানদেনে। ফিলিপাইনের লেগাজপি শহরের বিকোল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে পড়ান তিনি।

শিক্ষার্থীরা যেন পরীক্ষার হলে একে অপরের খাতা দেখে লিখতে না পারেন, সে জন্য তিনি টুপি পরে আসতে বলেন। তাই বলে শিক্ষার্থীরা যে এমন সব অদ্ভুত ‘টুপি’ পরে আসবেন, তা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি।

অধ্যাপক মানদেনে বলেন, শিক্ষার্থীরা যে যাঁর মতো হাতে যা ই পেয়েছেন, তা–ই দিয়ে টুপি বানিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। গত অক্টোবরের শেষ দিকে মিড টার্ম পরীক্ষা থেকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বিশেষ টুপি পরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া শুরু হয়। কয়েক শ শিক্ষার্থী এভাবে পরীক্ষার হলে হাজির হন, দেন পরীক্ষা। নকল ঠেকানোর জন্য পরীক্ষার্থীদের এমন টুপি পরার বিষয়টি খুব কাজে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন অধ্যাপক মানদেনে।

নকল ঠেকাতে কয়েক বছর আগে থাইল্যান্ডে এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি দেখে অনুপ্রাণিত হন মানদেনে। ২০১৩ সালে ব্যাংককে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা এপাশে–ওপাশে যেন তাকাতে না পারেন, সে জন্য চোখের দুদিকে দুই পাতা কাগজ লাগিয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।

অধ্যাপক মানদেনে বলেন, ওই বিচিত্র কৌশলে পরীক্ষা নেওয়ায় এ বছর তাঁর শিক্ষার্থীরা ভালো করেছেন। হলে কড়াকড়ি থাকায় শিক্ষার্থীরাও ভালোভাবে পড়াশোনা করেছেন। নকল করতে গিয়ে কেউ ধরাও পড়েননি।

বার্তাবাজার/এম.এম 

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর