মালয়েশিয়ায় অপহৃত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দক্ষিণ ধলাপাড়া গ্রামের মরহুম আহমেদ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় ছিলেন তিনি। সেখানে একটি কারখানায় কাজ করতেন সোহেল।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সেলাঙ্গর রাজ্যের সেরিকামবাগানের তামিং জায়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক সংলগ্ন একটি কারখানার পেছনের জঙ্গল থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় কাজাং থানা পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং সোহেলের প্রবাসী স্বজনরা। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সোহেলের মরদেহ শনাক্ত করেছে তার পরিবার।

এ নিয়ে মালয়েশিয়ার কাজাং ওসিপিডির সহকারী কমিশনার মোহম্মদ জাইদ হাসান বলেন, মরদেহটি আংশিকভাবে পঁচে গেছে এবং নিহতের হাত ও মুখ সেলোফেন টেপ এবং একটি সারং দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনি আরও জানান, অপহরণের ঘটনায় আটক ৪ প্রবাসী বাংলাদেশির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোহেলের মামা মিজানের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কাজাং থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে।

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মালয়েশিয়ার তামিলজায়া এলাকায় বাসার কাছ থেকে সোহেল মিয়াকে অপহরণ করা হয়। তাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বরিশালের একটি ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে অপহরণকারীদের দাবি করা ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণও পাঠায় সোহেলের পরিবার। কিন্তু তারপরও মুক্তি না পাওয়ায় মালয়েশিয়ায় দুটি এবং দেশে ১টি মামলা করে সোহেলের পরিবার। এ ছাড়াও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনেও সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে তার পরিবার।

কাজং পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ অক্টোবর বিকেলে বেরানং এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি এবং পরদিন সেমোনিয়া এলাকা থেকে আরও দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মামুন শিকদার ও আলমগীরের নাম প্রকাশ হলেও তদন্তের স্বার্থে বাকি দুইজনের নাম এখনও জানায়নি পুলিশ।

উত্তম/বার্তাবাজার/এম আই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর